১০ সার্কেল নিয়ে কিশোরগঞ্জ নরসিংদী জোনে অন্তর্ভুক্ত হলো
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কিশোরগঞ্জের ১০টি সার্কেল নিয়ে এবং নরসিংদীর ১২ টি সার্কেলসহ মোট ২২টি সার্কেল নিয়ে নরসিংদী কর অঞ্চল চালু হয়েছে। এ বছরের অক্টোবর মাস থেকে একযোগে নরসিংদী জোনের ২২টি সার্কেলের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কর বিভাগের একাধিক সূত্র।
দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর পর কিশোরগঞ্জ এলাকা ময়মনসিংহ কর জোন হতে আলাদা হয়ে নরসিংদী জোনে সংযুক্ত হলো। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলা কর আইনজীবী সমিতিতে কর বিভাগের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা জেলা কর আইনজীবী সমিতিতে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়।
মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, কর কমিশন নরসিংদী জোনের মো. মহিতুর রহমান,অতিরিক্ত কর কমিশনার শেখ শামীম বুলবুল, যুগ্ম কর কমিশনার শহীদুল্লাহ কায়সার, উপকর কমিশনার (হেডকোয়ার্টার) শামীম আহমেদ, সহকারি কর কমিশনার অন্তরা সরকার। কিশোরগঞ্জ জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আবুল কাশেম, সিনিয়ার কর আইনজীবী মোঃ শফিকুল ইসলাম, কর আইনজীবী সালাহউদ্দিন প্রমুখ।
এসময় কর কমিশনার মহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে নরসিংদী কর চালু করা হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকে আসছি সার্কেলে এক যুগে কাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে আইনজীবী এবং করদাতাদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, একটি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থ কে প্রাধান্য দিতে হবে। সেই সাথে সবাইকে সততার সহিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। হোয়ার আর ইউ কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আয়না খুব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। করদাতাদের সঠিক কর দিতে উৎসাহিত করার জন্য তিনি সকল কর কর্মকর্তা ও কর আইনজীবীদের সহায়তার করার আহ্বান জানান।
অতিরিক্ত কর কমিশনার শামীম বুলবুল বলেন, মধ্যে আমরা কিশোরগঞ্জ সার্কেলে ১০ টি অফিস ভাড়া নেওয়ার প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে । নতুন আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আপনাদের মাধ্যমে আগামী দিনে কর ব্যবস্থার পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে করদাতাদের সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়বে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, পেশাগত জীবনের শুরুতে সততা আন্তরিকতা সর্বোপরি দেশপ্রেমকে অগ্রাধিকার দিয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য তিনি নতুন আইনজীবীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পরিশেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আবুল কাশেম উপস্থির সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং বিদ্যমান কর ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকরণের দাবি জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।



