এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার সফলভাবে শেষ হলো
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
আঞ্চলিক পর্যটন সহযোগিতার মঞ্চে সফলভাবে সম্পন্ন হলো ১২তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার (এটিএফ)। ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)। ভ্রমণ ও পর্যটনের বিস্তৃত সম্ভাবনা তুলে ধরার এই আয়োজনে অংশ নেয় সাতটি দেশের প্রায় ১৫০টি প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ব পর্যটনে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করতে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অংশীদারি, সংস্কৃতি ও উদ্যোক্তা উন্নয়নের এক মিলনমেলায় পরিণত হয় এবারের এটিএফ। আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যেখানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি ও আন্তর্জাতিক পর্যটন ব্যক্তিত্বরা। আগামী ২৪-২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৬ সালে ১৩তম আসর আয়োজনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে এবারের সফল আয়োজনের।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও নুজহাত ইয়াসমিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত শিউনিন রশিদ ও ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কেইংলেট।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান বলেন, এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন শুধু একটি মেলা ছিল না—এটি ছিল একটি মঞ্চ, যেখানে বাংলাদেশ ও এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব, সংস্কৃতি এবং সম্ভাবনার বিনিময় হয়েছে।
এটিএফ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা সাফল্যের সঙ্গে এবারের আয়োজন সম্পন্ন করতে পেরেছি। এটি সম্ভব হয়েছে সবার সহায়তা, উৎসাহ ও ভালোবাসার কারণে।
বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় আজ এটিএফ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী পর্যটন মেলায় পরিণত হয়েছে। এটি শুধু একটি ট্র্যাভেল ট্রেড ফেয়ার নয়—এটি একটি প্ল্যাটফরম যেখানে; পর্যটন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে, কমিউনিটি ভিত্তিক পর্যটনকে প্রমোট করার সুয়োগ হয়েছে। শিশুদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া সেমিনার, বিটুবি নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে এটিএফ চেয়ারম্যান আগামী ২০২৬ সালের মেলার আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করেন।
মেলায় সাতটি দেশের প্রায় ১৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে; যার মধ্যে ছিল সরকারি পর্যটন সংস্থা, বেসরকারি কোম্পানি, এয়ারলাইনস, হোটেল, ট্যুর অপারেটর, ক্রুজ কোম্পানি এবং ট্রাভেল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন। হাজার হাজার দর্শনার্থী মেলায় অংশ নিয়ে স্টল ঘুরে দেখেন, নেটওয়ার্কিং সেশনে অংশ নেন, সেমিনারে যোগ দেন এবং মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।
এবারের ফেয়ারে নেপাল ছিল প্রাইম পার্টনার কান্ট্রি; তারা তাদের হিমালয়ান ঐতিহ্য, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরেন। ফিলিপাইন ও মালদ্বীপ পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে অংশ নেয়। তাদের বৈচিত্র্যময় পর্যটন পণ্য প্রদর্শন এবং বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার অঙ্গীকার করেন।



