হিমাগারে সংরক্ষিত অবিক্রীত আলু নিয়ে বিপাকে কুড়িগ্রামের কৃষক
রাজু মোস্তাফিজ,কুড়িগ্রাম
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০১ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
কুড়িগ্রামের হিমাগারে গেটে প্রতি কেজি আলুর সরকারের বেঁধে দেওয়া দর ২২ টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকায়। সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে আলু।
এদিকে কুড়িগ্রামের হিমাগারগুলোতে সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণ অবিক্রীত আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। আর কয়েক সপ্তাহ পর আগাম আলু বাজারে আসতে শুরু করবে। এত বিপুল পরিমান আলু কি করবে কৃষক আর ব্য্যবসায়ীরা। চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে তারা।
কুড়িগ্রামের চারটি হিমাগারে এখনো প্রায় ৩৩ হাজার টন আলু মজুদ আছে। স্বল্প সময়ে এত বিপুল পরিমাণ আলু বিক্রির সম্ভাবনা কম। হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের বিষয়ে তাঁরা কোনো চিঠি পাননি বা এ ব্যাপারে সরকারি কোনো উদ্যোগও নেই।
গত ২৭ আগস্ট হিমাগার গেটে আলুর সর্বনিম্ন মূল্য প্রতি কেজি ২২ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। পাশাপাশি ৫০ হাজার টন আলু কেনার ঘোষণাও দেয়।
কৃষকরা জানান, আলুর বীজ, সার, কীটনাশক ও জমির ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এ বছর প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ পড়ে ২২ টাকা। হিমাগার ভাড়া ও অন্যান্য খরচ মিলে সংরক্ষিত আলুর খরচ পড়ছে প্রায় ২৭ টাকা।
সদর উপজেলার শিবরাম গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া জানান, হিমাগারে এখনো তার পাঁচ হাজার বস্তা আলু (প্রতি বস্তায় ৬২ কেজি) সংরক্ষিত আছে।
লোকসান দিয়ে কিছু বিক্রি করলেও এখন দাম আরো কমে গেছে। তাই আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের বিষয়ে কোনো চিঠি না পাওয়ার কথা জানিয়ে কুড়িগ্রামের বাবর কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার শরিফ আল মাসুদ মণ্ডল জানান, এই হিমাগারে ধারণক্ষমতা পুরো ব্যবহার করে ১১ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ৯০০ টন বিক্রি হয়েছে। সময় আছে মাত্র তিন মাস।
অল্প সময়ে এই পরিমাণ আলু বিক্রি করা কঠিন।
কুড়িগ্রাম জেলা মার্কেটিং অফিসার রীমা মনি শীল জানান, প্রতি মাসে হিমাগারে আলুর বিক্রি ও মজুদ মনিটর করা হচ্ছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া আলুর দরের ব্যাপারে হিমাগার কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।



