সময় বাড়ল ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন পাঠানোর
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০১ পিএম
ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন ঘোষণায় আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আর্থিক খাতে কার্যকারিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই ডিজিটাল ব্যাংক চালু হবে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ আগস্ট ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের আবেদন আহ্বান করা হয়। তখন আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত ছিল। ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের লক্ষ্যে আবেদনকারীদের পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত প্রস্তাবনা তৈরি এবং বিভিন্ন দলিলাদি সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনায় ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের আবেদন গ্রহণের তারিখ আগামী ২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হতে হবে ৩০০ কোটি টাকা।
প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক খাতের বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষতা বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সহজ করা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
আবেদনকারীদের নির্ধারিত ফরম পূরণের পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য ফি ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে জমা দিতে হবে। আবেদন সরাসরি জমা দেওয়ার পাশাপাশি ই-মেইলের মাধ্যমেও নথি পাঠানো যাবে।এর জন্য আলাদা শাখা, উপশাখা বা এটিএম বুথের প্রয়োজন হবে না; সব সেবা অ্যাপ-নির্ভরভাবে মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়ন করে। তখন ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ধরা হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা, যা পরে সংশোধন করে ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হবে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী এবং পেমেন্ট সার্ভিস পরিচালিত হবে ২০১৪ সালের বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন অনুসারে।



