পিপলস লিজিংয়ে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দাবি
শামসুল আলম সেতু
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে হাজারো আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের দাবিতে সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীরা।এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত লাইসেন্সধারী ।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সমন্বয়কারী মো.আতিকুর রহমান আতিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তৎকালীন মালিক ও পরিচালকরা প্রতিষ্ঠানের বিপুল অর্থ লোপাট করেন।
অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে ২০১৯ সালে কোম্পানিটিকে লিকুইডেশনের আবেদন করে বন্ধ করে দেয়। এতে হাজার হাজার আমানতকারী নিঃস্ব হয়ে পড়েন এবং অর্থাভাবে বহু পরিবার অচল হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,এ পর্যন্ত অর্থ না পেয়ে অন্তত ৩৫ জন আমানতকারীর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ ও প্রবীণ আমানতকারীরা চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তবে ২০২১ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং ইতিমধ্যে কয়েক হাজার আমানতকারী অর্থ ফেরত পেয়েছেন।
তিনি বলেন,সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে চারজন সাবেক পরিচালককে ছয় মাসের মধ্যে ১,৪০০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানানো হয়।
কিন্ত দুঃখজনক বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ‘পিপলস লিজিং কোম্পানী (যাহা ২০২১ ইং সালের পর থেকে বর্তমানে ভাল ভাবে চলছে)। সেই চলমান কোম্পানী হঠাৎ করে লিকুডিয়েশন বা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি চালু অবস্থায় পিপলস লিজিং কোম্পানীকে বন্ধ করে দেন, তাহলে একদিকে অসহায় হাজার হাজার আমানতকারীরা তাহাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবে।
অন্যদিকে পিপলস লিজিং কোম্পানীর ডিফল্টার, ঋণ খেলাপী ও প্রকৃত দোষীরা পার পেয়ে যাবে। যা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। তাই আমানতকারীদের দাবি পিপলস লিজিং কোম্পানী যেন কোন ভাবেই বন্ধ না করা হয়।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন,পিপলস লিজিং কোম্পানীর চালু অবস্থায় বন্ধ করার পায়তারার কি কারণ ? কার স্বার্থ ?
প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থ সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এর কাছে আমানতকারীদের দাবি স্বার্থের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত থেকে নিবৃত্ত হন।
এসময় আমানতকারীরা জানান, অবিলম্বে অর্থ ফেরতের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া না হলে তারা রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
প্রেসক্লাবের এ আয়োজনে শত শত আমানতকারী প্ল্যাকার্ড হাতে অংশ নেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) শাহাবুদ্দিন, রানা ঘোষ, ফারুকরুজ্জামানসহ অনেকে।



