তিন ব্যাংকের সম্মতি , সময় চাইলো দুটি
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
দেশের আর্থিক খাতে বড় ধরনের সংস্কারের অংশ হিসেবে পাঁচটি সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ইতোমধ্যেই একীভূত হওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। তবে এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সময় চেয়েছে।
গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। নতুন গভর্নর অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নিয়েই দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখতে একীভূত করার পরিকল্পনা নেন। শুরুতে আলোচনায় একাধিক ব্যাংক থাকলেও শেষ পর্যন্ত পাঁচটিকে বেছে নেওয়া হয়। এর মধ্যে চারটি ব্যাংকের মালিক ছিলেন আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এস আলম, আর এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ নজরুল ইসলাম মজুমদার।
চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক হয় পাঁচ ব্যাংকের।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক বৈঠকে জানায়, তাদের মোট ঋণ ১৪ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকাই নিয়েছে এস আলম গ্রুপ, যার বিপরীতে জামানত ২৫%–এরও কম।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক জানায়, তাদের প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা এস আলম নিয়েছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, সময় ও মূলধন সহায়তা পেলে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
এক্সিম ব্যাংক বৈঠকে জানায়, তারা এখনই একীভূত প্রক্রিয়ায় যেতে রাজি নয়। চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন বলেন, তারা একটি রোডম্যাপ দিয়েছে, যা আরও বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈঠকে জানায়, এসব ব্যাংকের প্রায় সব সূচক খারাপ, গ্রাহকেরা টাকা পাচ্ছেন না এবং এর নেতিবাচক প্রভাব পুরো খাতেই পড়ছে। ফলে একীভূত হওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই।
পাঁচ ব্যাংকের সম্মিলিত মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণ ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এগুলো টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের পরিকল্পনা করছে।



