৬ শ্রেণীর করদাতার সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ছয় শ্রেণীর করদাতার জন্য সম্পদের বিবরণী জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করেছে। দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি ও ফ্ল্যাট থাকলেই আয়কর রিটার্নে সম্পদ বিবরণী দিতে হবে। কেউ গাড়ির মালিক হলেও তার জন্য সম্পদ বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক। সম্প্রতি প্রকাশিত এনবিআরের আয়কর পরিপত্রে (২০২৫-২৬) এ বিষয়ে বলা হয়েছে
একজন করদাতা যদি সরকারি চাকরি করেন, তাহলে তাকে প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমার সময় সম্পদের বিবরণী জমা দিতেই হবে। কারণ, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সম্পদ বাড়ল না কমল, তা দেখতে চান কর কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রায়ই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এ জন্য এনবিআর গণখাতের কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী বাধ্যতামূলক করেছে।
আপনি একজন করদাতা ও প্রতিবছর রিটার্ন দেন। আপনার যদি ৫০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ অর্থাৎ বাড়ি, প্লট, অ্যাপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাবর সম্পদ থাকে, তাহলে আপনাকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে সম্পদের মূল্য যখন আপনি যে দামে কিনেছেন বা যখন মালিক হয়েছেন, তখন বাজারদর যত ছিল, তা হিসাব করতে হবে।
আপনার হয়তো ৫০ লাখ টাকার সম্পদ নেই। কিন্তু আপনার ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকায় যদি বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট থাকে, তাহলে আপনাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে। এখানে আপনি সিটি এলাকায় বাড়ি–গাড়ি থাকলে ধনী লোক হিসেবেই ধরা হয়।
একজন করদাতার একটি গাড়ি আছে। কিন্তু তাঁর সব মিলিয়ে ৫০ লাখ টাকার সম্পদ নেই। তবু আপনাকে সম্পদের যাবতীয় তথ্য দিয়ে তা রিটার্নে জানাতে হবে।
কোনো করদাতার যদি দেশের বাইরে ন্যূনতম কোনো সম্পদ থাকে, তাহলেও বাংলাদেশের রিটার্ন জমার সময় সম্পদের বিবরণী দিতে হবে। কারণ, দেশের বাইরের সম্পদের খবর জানতে চায় এনবিআর। দেশে ৫০ লাখ টাকার সম্পদ না থাকলেও ওই করদাতার সম্পদের বিবরণী জমার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।
আপনি যদি কোনো কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হন, তাহলে কোনো চিন্তা করতে হবে না। আপনাকে বছর শেষে রিটার্ন জমার সময় সম্পদের বিবরণী দিতেই হবে। আপনার সম্পদের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা পেরিয়ে না গেলেও বিবরণীর ফরম করে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। সূত্র : অনলাইন



