বাংলাদেশকে হালাল পণ্যের আঞ্চলিক হাব গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর: বিডা চেয়ারম্যান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩২ এএম
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের হালাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে একটি প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে নিয়ে যেতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘হালাল ইকোনমি ৩৬০: ড্রাইভিং গ্লোবাল গ্রোথ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ হালাল পণ্য অমুসলিম দেশগুলো উৎপাদন করে, যা মুসলিম-প্রধান দেশের জন্য দুঃখজনক হলেও সম্ভাবনাময় একটি সুযোগ। সঠিক নীতিমালা ও কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এ খাতে সাফল্যের সঙ্গে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে পারে।”
সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই)। এতে হালাল অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনা, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বিডা চেয়ারম্যান জানান, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও হালাল উৎপাদনের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে বলেন, “এই অংশীদারিত্ব উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।”
সেমিনারে বিএমসিসিআই সভাপতি সাব্বির এ খান বলেন, “হালাল অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশকে এই লাভজনক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে সব অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, সহজতর সনদ প্রক্রিয়া এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে শুধু মালয়েশিয়াতেই বাংলাদেশ ৭-৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের হালাল পণ্য রপ্তানি করতে পারবে।
বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্যবাজারের আকার ২০২৫ সালে ৩.৩০ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ২০৩৪ সালের মধ্যে ৯.৪৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এই সময়কালে বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার হবে ১২.৪২ শতাংশ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান। তিনি বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ়তার কথা তুলে ধরে হালাল অর্থনীতিতে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করলেও রপ্তানি হয়েছে মাত্র ২৯৩.৫১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।



