আগস্টে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স আবেদন গ্রহণ
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, আগামী আগস্ট মাসে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স আবেদন গ্রহণ শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব প্রতিষ্ঠান এর আগেও আবেদন করেছিল, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে। তিনি বলেন, "আমরা দ্রুত আবেদনগুলো যাচাই করে বাছাই প্রক্রিয়ায় যাব।"
তিনি আরও বলেন, সম্ভাব্য ডিজিটাল ব্যাংক অপারেটরদের ২,০০০ থেকে ৩,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ সক্ষমতা থাকতে হবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, "bKash-এর লাভে আসতে ১২ বছর লেগেছে। Nagad-এর ক্ষেত্রেও এক দশক লাগতে পারে। সফল হতে হলে দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি জরুরি।"
গভর্নর পরিষ্কার করেছেন, বর্তমানে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) প্রোভাইডাররা সরাসরি ক্ষুদ্র ঋণ (nano loan) বিতরণ করতে পারবে না। এর জন্য তাদের ডিজিটাল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি খুলতে হবে অথবা নতুন লাইসেন্স নিতে হবে। বর্তমানে তারা সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে। তবে ভবিষ্যতে এ সীমা ১ লাখ, ১.৫ লাখ বা ৫ লাখ টাকায় উন্নীত হতে পারে, যদি প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ আর্থিক শক্তি, বিনিয়োগ সামর্থ্য এবং পরিচালন দক্ষতা প্রমাণ করতে পারে।
নির্দিষ্টভাবে কতটি ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হবে, তা এখনো জানানো হয়নি। তবে গভর্নর জানিয়েছেন, আবেদনগুলোর গুণগত মানের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, "লাইসেন্স খুব বেশি দেওয়া হবে না। আমরা ধাপে ধাপে এগোব।"
২০২৩ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য গাইডলাইন তৈরি করে। এরপর ২১ জুন থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়, যেখানে ৫২টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিক অনুমোদন এবং ২টি ব্যাংককে LOC (লাইসেন্স অব কনসেন্ট) প্রদান করা হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর, বাংলাদেশ ব্যাংক Nagad Digital Bank-এর লাইসেন্স স্থগিত করে।
নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আহসান এইচ মঞ্জুর ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ পুনঃমূল্যায়নের ঘোষণা দেন।



