মার্কিন শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার আমদানি বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১১:২৪ এএম
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমানোর লক্ষ্যেই বাংলাদেশ আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের গম, ডাল, এলএনজি, তুলা ও সয়াবিন আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের আমদানি নিশ্চিত করা হবে এবং বাকিটা বেসরকারি খাত থেকে পূরণ হবে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান সোমবার (২৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্র সফরে রওনা হওয়ার আগে জানান, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এ আমদানি পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা তা আরও কমাতে চাই। এতে পাল্টা শুল্ক হার ভিয়েতনামের (২০ শতাংশ) চেয়েও কমিয়ে আনার সুযোগ তৈরি হবে।”
সরকার ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জি-টু-জি ভিত্তিতে বছরে ৭ লাখ টন গম কিনতে চুক্তি করেছে। এলএনজি আমদানির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রস্তাবিত শুল্ক কার্যকর হচ্ছে ১ আগস্ট থেকে। এর আগেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করতে সরকারি প্রতিনিধিদল ও ব্যবসায়ীদের পৃথক একটি দল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। সরকারি দলটি ইউএসটিআর-এর সঙ্গে আলোচনায় বসবে এবং ব্যবসায়ীদের দল মার্কিন রপ্তানিকারকদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
বেসরকারি প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ), সিটি, মেঘনা ও টিকে গ্রুপের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন। বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল জানিয়েছেন, “যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি চার-পাঁচগুণ বাড়িয়ে ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।” তবে তুলার দাম ও পরিবহন সময় বেশি হওয়ায় তিনি সরকারি সহায়তা দাবি করেন।
টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন ও গমের মান ভালো হলেও আমদানি খরচ বেশি। সরকার আমদানির জন্য অনুরোধ করেছে—আমরা চেষ্টা করব। তবে ব্যবসায়িক ঝুঁকি হলে সরকারের সহায়তা দরকার।”
বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী শফি মাহমুদ বলেন, “আমরা একসঙ্গে বড় পরিমাণ ডাল আমদানি করি না, দামও তুলনামূলক বেশি। এখন বড় কোম্পানিগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই মন্ত্রণালয়কে বলেছি, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই কার্যকর ফল পাওয়া যাবে।”



