যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে বিপর্যয়ের আশঙ্কা, ২৫০ পোশাক কারখানা হুমকিতে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
ছবি : সংগৃহীত
আগামী ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পোশাকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হলে কমপক্ষে ২৫০টি রপ্তানিনির্ভর পোশাক কারখানা মারাত্মক সংকটে পড়বে বলে সতর্ক করেছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, এসব কারখানার রপ্তানির ৬০-১০০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রনির্ভর, ফলে নতুন ট্যারিফ কার্যকর হলে টিকে থাকা কঠিন হবে। আরও প্রায় ১,০০০ কারখানা রয়েছে যাদের ১-৬০ শতাংশ রপ্তানি মার্কিন বাজারমুখী—এদের উপরও শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান বাবলু বলেন, “এখনই ১০ শতাংশ শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত, তার সঙ্গে ৩৫ শতাংশ যোগ হলে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।”
হা-মীম গ্রুপের এমডি একে আজাদ বলেন, “আমার ৮০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানিতে ৩৫% ট্যারিফের একাংশ বহন করতে হলে প্রায় ১.৩৭ মিলিয়ন ডলারের মুনাফা ঝুঁকিতে পড়বে।”
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক রপ্তানি বাজার, যেখানে বছরে ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য যায়—এর মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলার তৈরি পোশাক।
বিজিএমইএর তথ্যমতে, সংগঠনের ১,৩২২টি কারখানা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে, বিকেএমইএ’র কয়েকটি কারখানাও যুক্তরাষ্ট্রনির্ভর। উভয় সংগঠনের অন্তত ৩০০টির বেশি কারখানা উচ্চমাত্রায় মার্কিন বাজারনির্ভর।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, “রাতারাতি মার্কিন বাজারের বিকল্প খোঁজা সম্ভব নয়। এভাবে চললে সিজনের পর কারখানা বন্ধ করতেই হবে।”
তথ্য অনুযায়ী—
- ৮২২টি কারখানা ২০% পর্যন্ত
- ১৭৬টি কারখানা ২১-৪০%
- ৮৭টি কারখানা ৪১-৬০%
- ৯১টি কারখানা ৬১-৮০%
- ৪৬টি কারখানা ৮১-৯০%
- ১০০টি কারখানা ৯১-১০০% মার্কিন রপ্তানিনির্ভর
এদিকে ট্যারিফ বিষয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবে, তবে পোশাক খাতের কোনো বেসরকারি প্রতিনিধি দলে থাকছে না বলে জানা গেছে।



