
প্রিন্ট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
কমলো ডলারের দাম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ঊর্ধ্বগতিতে ডলারের বাজারে চাপ কমে যাওয়ায় বিপরীতে টাকার মান কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃব্যাংক লেনদেনে মার্কিন ডলারের দর দাঁড়িয়েছে ১১৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২০ টাকা ১০ পয়সা পর্যন্ত—যা গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
মাসের শুরুতে (২ জুলাই) একই ডলার লেনদেন হয়েছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৮৫ পয়সার মধ্যে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে দরপতন ঘটতে থাকে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি সাময়িক স্বস্তির ইঙ্গিত দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত নজরদারি গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রবাসী আয় এবং রপ্তানি খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বিপরীতে, আমদানি ব্যয় বাড়েনি, ফলে ডলারের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, জুন মাসে আইএমএফ, এডিবি, জাইকা এবং এআইআইবি থেকে অর্থ সহায়তা আসায় রিজার্ভে ডলার জমা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দেশ থেকে ৪,০৮৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি ও ৬,০২৫ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ১,৯৩৮ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.১৭% কম।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় ২৭% বেশি। এটি দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ।
এছাড়া চলতি অর্থবছর শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার—গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগের বছর তা ছিল ২৬.৭১ বিলিয়ন ডলার।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই প্রবণতা মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় সহায়ক হবে।