
প্রিন্ট: ২৭ জুন ২০২৫, ০৬:১৬ এএম
পাহাড়ে বাড়ছে কাজুবাদামের চাষ

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম

ছবি- সংগৃহীত
২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় ২ লাখ ৭৬ হাজার কাজুবাদামের চারা বিতরণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। ৪১ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের আওতায় এসব চারা বিতরণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ চাষিকে।
রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের বসন্ত পাংখোয়া পাড়ায় আড়াই একর জমিতে কাজুবাদাম চাষ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা চিয়ালজল পাংখোয়া।
চিয়ালজল পাংখোয়া বলেন, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৬০ কেজির মতো ফলন বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতি কেজি বিক্রি করেছেন ১০০ টাকা দরে। কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করার পর এসব কাজুবাদাম প্রতি কেজি প্রায় দেড় হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। বাগানে বিক্রি করার মতো আরও ফলন রয়েছে জানিয়ে চিয়ালজল বলেন,‘প্রথমবার খুব একটা আয় হবে, এমনটা বলা যাবে না। তবে বাগানের সব গাছে ফলন এলে বিক্রি করে বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে’।
বেশি লাভের আশায় চিয়ালজল পাংখোয়ার মতো পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজুবাদামের বাণিজ্যিক চাষাবাদে ঝুঁকছেন অনেকেই। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে বেড়েছে কাজুবাদামের চাষ। এতে ফলন বাড়ায় জেলায় চাঙা হয়েছে কাজুবাদামের ব্যবসাও।
কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাহাড়ে আগে থেকেই সীমিত পরিসরে কাজুবাদামের চাষ হতো। দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্রও কাজুবাদামের চাষাবাদ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে। ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় ২ লাখ ৭৬ হাজার কাজুবাদামের চারা বিতরণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো.মুনিরুজ্জামান বলেন, কেবল রাঙামাটি জেলাতেই চলতি মৌসুমে ৩৬২ হেক্টর জমিতে চাষ করা কাজুবাদামগাছে ফলন এসেছে। এরই মধ্যে কাজুবাদাম সংগ্রহ শুরু করছেন চাষিরা। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজুবাদাম চাষে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্য ভবিষ্যতে কীভাবে চাষ বাড়ানো যায়,তা নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা পাহাড়ে চাষের উপযোগী ও উচ্চফলনশীল কাজুবাদামের নতুন জাত উদ্ভাবনের কাজ করছি। দেশ-বিদেশ থেকে ২০ থেকে ২৫ প্রজাতির কাজুবাদামগাছ সংগ্রহ করে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে’।