
প্রিন্ট: ২৮ জুন ২০২৫, ০১:১৫ এএম
যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ,মামলা করতে ১২ ঘণ্টা থানায় পরিবার

রংপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ০৯:২১ পিএম

ছবি-সংগৃহীত
রংপুরে যৌতুকের টাকার জন্য এক গৃহবধূর শরীরে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চার দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শুক্রবার সকালে ওই গৃহবধূ মারা যান।
নিহত গৃহবধূর নাম রেজওয়ানা দিল আফরোজ। তাঁর বাবার নাম রেজাউল করিম। বাবার বাড়ি হারাগাছ থানার মধ্য কাচু বকুলতলায়। গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, যৌতুক না দেওয়ায় তাঁর মেয়ের শরীরে আগুন দেন জামাতা। মেয়ের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। তবে ১২ ঘণ্টা পর পুলিশ বলছে,মামলা প্রক্রিয়াধীন। গৃহবধূর বাবা রেজাউল করিম বলেন, তাঁর মেয়ে রেজওয়ানার (২২) সঙ্গে রংপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সরেয়ার তলের আব্দুল করিমের তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জামাতা যৌতুক দাবি করে আসছেন। ৮ জুন বিকেলে তাঁকে হত্যার জন্য জামাতা ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিলে চিকিৎসকেরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ঢাকায় নিতে বলেন। চার দিন চিকিৎসাধীন থেকে গতকাল সকালে তাঁর মেয়ে মারা যান।
রেজাউলের অভিযোগ, ঘটনার দিন তিনি তাঁর জামাতার বাড়িতে ছিলেন। তাঁর জামাতা একটি ট্রাক কিনেছিলেন। এ জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাঁর মেয়ের শরীরে আগুন দেওয়া হয়।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে মাহীগঞ্জ থানায় দিয়ে দেখা যায়,নিহতের স্বজনেরা থানার সামনে অপেক্ষা করছেন। নিহত রেজওয়ানার চাচা মুকুল মিয়া অভিযোগ করেন,তাঁর ভাতিজি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে গতকাল বেলা ১১টার দিকে তিনি মাহীগঞ্জ থানায় আসেন। ওসির সাক্ষাৎ না পেয়ে ফোন করলে ওসি জানান,ভাতিজি আত্মহত্যা করেছেন, তাঁরা মামলা নিতে পারবেন না। তাঁদের আদালতে মামলা করতে বলেন।
তবে মাহীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,এজাহারে বাদীর ঠিকানায় ভুল ছিল। সে কারণে মামলা নিতে দেরি হচ্ছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মারুফ আহমেদ বলেন, তিনি ঘটনা জানতে পেরে সকালে থানায় যান। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আটক তিনজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। ওসির বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে মারুফ আহমেদ বলেন,বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।