
প্রিন্ট: ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৩৯ এএম
গৌরীপুরে ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুন

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিবেদক:
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম

পান চায়ের বিলের ১০টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্রবার (১৩ জুন) ছুরিকাঘাতে হুমায়ুন কবীরকে (২৪) হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র।
সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন রতন জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হুমায়ুন কবীর ও সোহাগ মিয়া বাড়ি থেকে পাছার বাজারে যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে রানা ও বাদল ওর পথরোধ করে। এ সময় হুমায়ুন দৌড়ে তারা মিয়ার চায়ের দোকানে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করে। গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ প্রসঙ্গে সোহাগ মিয়া জানান, তিনি ও হুমায়ুন একসাথে আসছিলেন। পাছার বাজারে আসার পথে সোনাকান্দি গ্রামের আব্দুর রাশিদ মাস্টারের বাড়ির পুকুরের কাছে একই গ্রামের আব্দুল কদ্দুছের ছেলে বাদল মিয়া ও শামসুল হকের ছেলে রাশেদুল রানা গতরোধ করে। এ সময় আমি তাকে রক্ষা করার জন্য ছুটতে থাকি। হুমায়ুন জীবন বাঁচাতে তারা মিয়ার দোকানে ঢুকে পড়ে। সেখানে ঢুকে ওরা ছুরিকাঘাত করে। আমি বাঁধা দিয়েও তাদেরকে নিবৃত করতে পারি নাই। পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আবুল কাসেমের দোকানে পানের ১০টাকা বিল নিয়ে রানা ও বাদলের ঝগড়া হয়। এ সময় হুমায়ুন সেই ঝগড়া মিটিয়ে ১০টাকা পরিশোধ করে দিয়ে আসে। এতে ওরা হুমায়ুনের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জোনায়েদ খান পাঠান সাব্বির বলেন, হুমায়ুন কবীর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তাৎক্ষনিক তার নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা সদরের শহর প্রদক্ষিণ করে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিদারুল ইসলাম। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্দেহজনক একজনকে আটক করা হয়েছে।