
প্রিন্ট: ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
গলাচিপায় বিএনপি-গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম

ছবি-সংগৃহীত
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়ন ও বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই দলের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের পর উপজেলাজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদ প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
শুক্রবার সকালে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক আদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপরই উপজেলাজুড়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
১৪৪ ধারা নিয়ে ইউএনওর আদেশে বলা হয়, গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ও বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদ উভয়পক্ষই যুগপৎ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে গলাচিপা থানা কর্তৃপক্ষ ইউএনওকে অবহিত করে।
তাই গলাচিপা পৌরসভা ও সংলগ্ন এলাকায় ১৩ জুন সকাল ৮টা থেকে ১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এই সময়ের মধ্যে জমায়েত, মিছিল, সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল কিংবা দেশীয় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আদেশ লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুক্রবার সকালে গলাচিপা থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, “বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি।”