
প্রিন্ট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
নরসিংদীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে ঘুষের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ০৬:০১ পিএম

নরসিংদীর রায়পুরায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন সাগর।
মঙ্গলবার (১০ জুন) ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘রায়পুরা উপজেলার যে সকল নেতারা ৫০ হাজার, ১ লাখ টাকার বিনিময়ে খাদ্যের ডিলারশিপ লাইসেন্স বিক্রি করেছেন, তাদের মুখোশ শীঘ্রই উন্মোচন করা হবে।’
ওই পোস্টে আশিক আহমেদ নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘একদিন উপজেলায় গেছিলাম, আমার কাছে ১ লাখ টাকা চাইছে, আপনি পরিচিত দেখে মনে হয় ৫০ হাজার চাইছে। ৫ জন নেতার এক সিন্ডিকেটে।’
আসাদুজ্জামান আসাদ নামে আরেকজন লিখেন, ‘৫ তারিখের পরে রায়পুরার কিছু সিনিয়র নেতাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় আগেই ভালো আছিলাম।’
মোশাররফ হোসেন সাগর গণমাধ্যমকে জানান, নিয়োগ কমিটির সভাপতি রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা দলীয় চাপে স্বাধীনভাবে নিয়োগ দিতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি ডিলার নিয়োগ পেতে চাইলে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আলফাজ উদ্দিন মিঠু ৫০ হাজার টাকা চেয়েছেন। রাজি না হওয়ায় আমি ডিলার পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকনসহ আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতা। যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়নি, তারা হেভিওয়েট নেতাদের তদবিরে নিয়োগ পেয়েছেন।’
আব্দুর রহমান খোকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মোশাররফ হোসেন সাগর একজন মানসিক বিকারগস্ত লোক। আমি কারো কাছ থেকে এক পয়সা নিয়েছি, তা প্রমাণ হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো।’ আলফাজ উদ্দিন মিঠুও অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ অফিসিয়াল। আমি কোনো দায়িত্বে ছিলাম না।’
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘আমি নিজেও অভিযোগ শুনেছি। যেহেতু পলিটিক্যাল গভমেন্ট নেই, তাই বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটি করতে হয়েছে। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করছি সমাধান হবে।’