
প্রিন্ট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম
টেকনাফে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

কক্সবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ০১:২৩ এএম

ছবি : টেকনাফে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
কক্সবাজারের টেকনাফে বিএনপির বিবাদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির জেলা সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরীর ও জেলার অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় নেতা কর্মীদের দেয়া তথ্য বলছে, সম্প্রতি একটি ডিজিটাল মিডিয়ায় বিএনপির জেলা সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী ও তার সমর্থিত নেতাদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার হয়। যেখানে বিএনপির জেলা সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলের কমিটি বাণিজ্য সহ নানা অভিযোগ আনেন আবদুল্লাহ সর্মথিত কয়েকজন। এর কয়েক দিন পর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে দখল ও সন্ত্রাসের অভিযোগে আরেকটি প্রতিবেদন প্রচার করে ভিন্ন একটি ডিজিটাল মিডিয়া। এই দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের গ্রুপিং থাকায় একে অপরকে দায়ী করে আসছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার উভয় পক্ষ অপপ্রচারের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে আহত সকলই শাহজাহান চৌধুরী সমর্থিত। আহতরা হলেন, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য রাশেদুল করিম মার্কিন, টেকনাফ উপজেলা আরফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ এর যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সাবরাং ছাত্রদলের সচিব কামরুল হুদা,বিএনপি নেতা এজাহার মিয়া, সাবরাং ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সব্বির আহমদ, সাবরাং ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও বর্তমান মেম্বার কবির আহমদ, সাবরাং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মৌলভী আবদুল গফুর, টেকনাফ সদর বিএনপির ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি ফরিদ আলম সহ ১০ জন।
শাহজাহান চৌধুরী সমর্থিত নেতা টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিক্ষোভ মিছিলটি পূর্ব নির্ধারিত। তাদের মিছিলের জমায়েতের স্থানে আবদুল্লাহ জমায়েতের ঘোষণা দেয়। সংঘাত এড়াতে স্থান পরিবর্তন করার পরও সাবরাং এর মিছিল টিতে হামলা চালানো হয়।
হামলাকারীরা বিএনপি থেকে বহিষ্কারকৃত মন্তব্য করে টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট হাসান সিদ্দিকী বলেন, টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্বরে বিকেল ৩টার দিকে শাপলা চত্বরের জিরো পয়েন্টে আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে জিয়াউর রহমান, আব্দুর রহমান, মনির উল্লাহ, জয়নাল,শাহ আলম বিপ্লব, ব্যাজি জাফর,কাটাবনিয়ার বাধঁ কোম্পানির ছেলে ইসলাম,আলীর ডেইলের খুইল্যা মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক আহমদ সহ শতাধিক লোক এ হামলার ঘটনা করে। আহত ৬ জন গুরুতর, এদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ কে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি।
টেকনাফ থানার ওসি তদন্ত হিমেল রায় হামলার বিষয়টি জানেন না জানিয়ে বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছেন।