Logo
Logo
×

সারাদেশ

সীমান্ত শহরে কবি সাহিত্যিকদের আড্ডায় আলোড়ন

Icon

কক্সবাজার প্রতিবেদক :

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম

সীমান্ত শহরে কবি সাহিত্যিকদের আড্ডায়  আলোড়ন

ছবি- যুগের চিন্তা

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা শহর টেকনাফ উপজেলার অর্ধশত কবি, গল্পকার, ছড়াকার সহ সাহিত্যিকদের একটি বৃত্তের বন্ধন বসেছিল সোমবার বিকালে। যেখানে অর্ধশত লেখক তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন টেকনাফ সদর সাগর উপকূলের লেংগুরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। অনুষ্ঠিত হয়েছে  মনোমুগ্ধকর বই আলোনা, সাহিত্য আড্ডা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান। একাডেমির সভাপতি  আলী প্রয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে টেকনাফ উপজেলার নবীন-প্রবীণ ৩০ জন লেখকের বই নিয়ে আলোচনা করেন ৩০জন আলোচক। 

'সীমান্তের সাহিত্য, সীমাহীন ভাবনা' শিরোনামকে প্রতিপাদ্য করে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের শুরুতেই পরিচয়পর্ব সম্পন্ন করার পর পরই আমন্ত্রিত লেখক ও আলোচকদের উত্তরীয় পরিধান করিয়ে দেন কবি আলী প্রয়াস, লেখক রফিক উল্লাহ ও শিক্ষক নুরুল ইসলাম মাহমুদ। 

এরপর শুরু হয় সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব বই আলোচনা। বই আলোচনায় যথাক্রমে আবুল কালাম আজাদের 'সাত তরী স্বপ্ন পরী' নিয়ে এম এরশাদুর রহমান, রফিক উল্লাহর 'বৈষম্য ও সুষম বণ্টন' নিয়ে আলী প্রয়াস, মুহাম্মদ আমির হোসাইনের 'নাফের জলে ছন্দ গা়ঁথা' নিয়ে নুরুল ইসলাম মাহমুদ, নুরুল ইসলাম মাহমুদের 'যাপিত জীবনের কাব্য' নিয়ে শহিদুল ইসলাম, সন্তোষ কুমার শীলের 'সুস্থ থাকা সবল থাকা' নিয়ে মো. আবু তাহের, মুহাম্মদ জামিলের 'মায়াজাল' নিয়ে আল মামুন সাদেক,

মো. আনোয়ারুল ইসলামের 'নাফের তরি' নিয়ে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম, আবুল হোছাইন হেলালীর 'কাব্যকাননে সূরা বাক্বারা' নিয়ে নুপা আলম, শেখ আনোয়ার হোসেন রানার 'বুঝতেই চাইনি তোমার মন'  নিয়ে নুর মোহাম্মদ, আলী প্রয়াসের 'মায়া ও মর্মের ভগ্নাংশ' নিয়ে নাফিক আবদুল্লাহ, বিশ্বজিৎ পালের 'মেঘলা আকাশ' নিয়ে সাগর শর্মা, রহিম ক্যালভিনের 'অবলোকন' নিয়ে রফিক রানা, নাফিক আব্দুল্লাহর 'কবিদের কথা বলছি' নিয়ে এহসান উদ্দিন, নুপা আলমের 'ইচ্ছে রঙের তুলি' নিয়ে রহিম ক্যালভিন, এম. এরশাদুর রহমানের 'হোয়াইক্যং-এর ইতিহাস' নিয়ে আজিজুর রহমান, সাইফুল্লাহ মানছুরের 'সুবোধ ও তার এলিজি' নিয়ে নুরুল আমিন, ফারুক আজিজের 'শব্দ গোলাব' নিয়ে হোসাইন জাহিদ, আবদুল্লাহ্ বিন নূরের 'পরীবিবির তাসের ঘর' নিয়ে সানা উল্লাহ মোহাম্মদ কাউসার, নুর মোহাম্মদের 'জুতা আমাকে নিয়ে হাঁটছে' নিয়ে সাইফুল্লাহ মানছুর, ইসহাক তুহিনের 'ধীরাজ-মাথিনের আখ্যান' নিয়ে শফিউল্লাহ নান্নু, ফারজানা রুমার 'মানুষ ব্যথায় বাঁচে' নিয়ে শফিকুল ইসলাম, শফিউল্লাহ নান্নুর 'লাল হইতরি' নিয়ে জিয়া উদ্দিন, ফারুক বিল্লাহর 'অপূর্ব প্রেম' নিয়ে দিলদার সামাদ খান, হিমেল রিফাতের 'ক্লেশে গাঁথা নীল চিরকুট' নিয়ে সীমান্ত হেলাল, আজিজুর রহমানের 'নোনাজলের ঢেউ' ইসমাঈল মুকুল, শাকিল সাহেলের 'ইচ্ছেডানা' নিয়ে মুরতাজা বেগম মলিকা, আহমদ বিন শফীর 'ছন্দবিলাস' আবুল হোসেন হেলালী, আব্দুর রহমান হায়দারের 'নব্যকথনে প্রশান্তির বাসন' নিয়ে সাদেক হোসাইন খায়রি, সীমান্ত হেলালের 'দুঃখবিভ্রম' নিয়ে ফারজানা রুমা, সাদেক হোসাইন খায়রির 'কবিতায় জীবনের গল্প' নিয়ে আহমদ বিন শফী প্রমুখ।

আলোচনা পর্ব শেষে সকল সম্মানিত লেখক ও আলোচকদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন একাডেমির পক্ষে  আলী প্রয়াস, নুপা আলম। 

আলোচনায় আলোচকরা প্রতিটি বই নিয়ে লিখিত এবং  মৌখিকভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ  আলোচনা ও গঠনমূলক  সমালোনা করেন । 

 বিশেষ আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রাবন্ধিক রফিক উল্লাহ, কবি শেখ আনোয়ার হোসেন রানা, লেখক আবছার বিন কামাল প্রমুখ। আলোচকরা বলেন, টেকনাফ সাহিত্য একাডেমির হাত ধরে সবার ঐক্যবদ্ধতায় টেকনাফের সাহিত্য সংস্কৃতির সমৃদ্ধির পথ আরও সুগম হবে। তারা ভবিষ্যতে সবার অংশগ্রহণের ভিত্তিতে আরও বৃহৎ পরিকল্পনার মাধ্যমে বইমেলার আয়োজনসহ নানামাত্রিক সাহিত্য আসর করার অঙ্গীকার করেন। এক মঞ্চে টেকনাফের সকল লেখকের উপস্থিত করার বিরল কৃতিত্বের জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে সকল লেখকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

অনুষ্ঠান শেষে দশ প্রজাতির দেশীয় মৌসুমি ফল নিয়ে জৈষ্ঠ্য উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন