BETA VERSION বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
Logo
ইউনিকোড কনভার্টার
Logo
  • হোম
  • সর্বশেষ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • সারাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • প্রবাস
  • চাকরি

সব বিভাগ ভিডিও আর্কাইভ ইউনিকোড কনভার্টার
Logo

প্রিন্ট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম

Swapno

সারাদেশ

বিজিবি-এলাকাবাসী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১২, পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য

Icon

কক্সবাজার প্রতিবেদক :

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম

বিজিবি-এলাকাবাসী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১২, পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য

ছবি-যুগের চিন্তা

কক্সবাজারের টেকনাফে সোমবার বিকালে বিজিবির সাথে স্থানীয় জনতার সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন স্থানীয়। জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জের ধরে এ ঘটনার সূত্রপাত। 

স্থানীয়দের দাবি, জাহাঙ্গীর আলম একজন সাধারণ জেলে এবং জেলের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারি একজন। তাকে আটক করে বিজিবির ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে স্থানীয় জনতা সড়ক অবরোধ করলে বিজিবি সদস্যরা হঠাৎ এসে গুলি বর্ষণ করে। এতে  আহত হন অনেকেই।


তবে বিজিবির পক্ষে ভিন্ন কথা জানানো হয়েছে। বিজিবির দাবি , জাহাঙ্গীর আলম মানবপাচারকারী ও মাদক চোরাকারবারী। বিজিবির উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি হওয়ায় বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে ফাঁড়ি নিয়ে যায়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে উক্ত আসামীর আত্মীয়-স্বজন, মানবপাচারকারী, চোরাকারবারি, জেলে এবং স্থানীয় লোকজন হ্নীলা ইউনিয়ন মৌলভী বাজার এলাকায় চৌরাস্তায় টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও নৌকা দিয়ে রাস্তা ব্লক করে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে। বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবির উপ-অধিনায়ক সহ ১০ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবি। 

ঘটনা যাই হোক, এঘটনার সূত্রপাত হয়েছে গত ২৮ মে। যদিও গত ২৮ মে ও সোমবার সংঘটিত ঘটনা নিয়ে জেলে-স্থানীয় জনতা ও বিজিবির পরষ্পর বিরোধি বক্তব্য রয়েছে। 

বিজিবির উখিয়াস্থ ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ মে বিজিরির টেকনাফের হ্নীলা বিওপির টহলদল কর্তৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ওই সময় মানব পাচারকারী ও মাদক চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ ৪০/৫০ জন বিজিবির অভিযান পরিচালনায় বাঁধা প্রদান করে। এমনকি জাহাঙ্গীর আলম তার নেতৃত্বে লোকজন জড়ো করে বেআইনীভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে বিজিবি জাহাঙ্গীর আলম ও তার ১৫ জন অনুসারীসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।


বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে বিজিবি কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করলে আনুমানিক ৫০-৬০ জন জেলে ও স্থানীয় জনগনের সাথে বিজিবি সদস্যদের বাক বিতন্ডা হয়। তবে  টহল দল কৌশলে আসামিকে বিওপিতে নিয়ে আসতে সক্ষম হলেও চোরাকারবারিরা স্থানীয় জনগণকে জড়ো করে বিওপি ঘেরাও করে উক্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এছাড়া উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে উক্ত আসামীর আত্মীয়-স্বজন, মানব পাচারকারী, চোরাকারবারি, জেলে এবং স্থানীয় লোকজন হ্নীলা ইউনিয়ন মৌলভী বাজার এলাকায় চৌরাস্তায় টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও নৌকা দিয়ে রাস্তা ব্লক করে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে। এ প্রেক্ষিতে বিওপি’র নিরাপত্তার স্বার্থে উপ-অধিনায়কের নেতৃত্বে ১টি পাজেরো জীপ ও ২টি পিকআপযোগে ২০ জন বিজিবি সদস্য প্রাধিকার অনুযায়ী অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে বর্ণিত এলাকা অতিক্রম করে উক্ত বিওপিকে সহায়তা প্রদানের জন্য গমন করলে উত্তেজিত জনতা বিজিবি সদস্যদের উপর দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠি ও ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা করে এবং বিজিবি'র গাড়ি ভাংচুর করে। এছাড়া বিজিবি সদস্যদের নিকট থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এমতাঅবস্থায়, আত্মরক্ষার্থে, সরকারি সম্পত্তি ও সাধারণ জনসাধানের জান-মাল রক্ষার্থে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা ফায়ার করে।  উক্ত হামলায় উখিয়া ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়কসহ ১০ জন বিজিবি সদস্য আহত হয়। পরবর্তীতে আহত বিজিবি সদস্যদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) অধিনায়ক কর্তৃক এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। 

এই বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয় লোকজন আহতদের কোন তথ্য জানানো হয়নি। যদিও আহতদের মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ জনকে চিকিৎসা প্রদানের তথ্য মিলেছে। যারা সকলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, নাফনদীর হ্নীলার অংশে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। দীর্ঘ আন্দোলনের পর মাছ ধরার অনুমতি পাওয়ার পর কিছু সংখ্যক জেলে নাফনদীতে মাছ ধরতে যাওয়া এবং বিজিবির তল্লাশীর জের ধরে গত ২৮ মে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এতে জাহাঙ্গীর আলমকেও আসামি করা হয়। জাহাঙ্গীর স্থানীয় জেলের কাছে প্রিয়। তিনি জেলেদের অধিকার আন্দোলনে প্রথম সারির একজন। সোমবার তাকে বিজিবির সদস্যরা আটক করে ফাঁড়ি নিয়ে গেলে স্থানীয় জেলে ও সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা এসে গুলি করলে ১২ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ২ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ১০ জন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে আলাপের জন্য টেকনাফ থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে বিজিবির আসামি গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কক্সবাজার আদালতের আইনজীবী এবং মানবাধিককর্মী আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘তদন্তাধীন মামলায় আসামি আটকের দায়িত্ব কার? যেটুকু জানি তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাড়া তদন্তাধীন মামলায় অন্য কেউ আসামি গ্রেফতার করতে পারেনা। তাহলে বিজিবি কোন আইনে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করতে গেল? এ প্রশ্ন তোলার দায়িত্ব কার?’

টেকনাফ বিজিবি সংঘর্ষ

এ সম্পর্কিত আরো খবর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সব খবর

সব খবর

আরো পড়ুন

Logo

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: jugerchinta24@gmail.com

আমাদের কথা যোগাযোগ শর্তাবলি ও নীতিমালা গোপনীয়তা নীতি বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা

অনুসরণ করুন

২০২৫ যুগের চিন্তা ২৪ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

ঠিকানা: ২১/বি (৫ম তলা), গার্ডেন রোড, পশ্চিম তেজতুরীবাজার, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫ | যোগাযোগ: +৮৮০১৩৩৯৪০৯৮৩৯, +৮৮০১৩৩৯৪০৯৮৪০ | ই-মেইল: jugerchinta24@gmail.com