Logo
Logo
×

সারাদেশ

কমলনগরে অতিরিক্ত লোডশেডিং, জনজীবন বিপর্যস্ত

Icon

লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ০২:১৮ পিএম

কমলনগরে অতিরিক্ত লোডশেডিং, জনজীবন বিপর্যস্ত

ছবি- সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় ঈদুল আযহার ছুটিতে পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিং জনজীবনকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। দিনে অন্তত ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার ফলে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে উপজেলার ৫৬ হাজারের বেশি গ্রাহককে। লোডশেডিংয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে রয়েছেন কমলনগরের বাসিন্দারা। 

এর ফলে কোরবানির মাংস সংরক্ষণে নিয়ে বিপাকে পড়েছে গ্রাহকরা। বৃদ্ধ ও শিশুরা অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি ব্যবসা-বানিজ্যেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। 

অন্যদিকে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুতের এই অবস্থাকে লোডশেডিং বলতে নারাজ। লো-ভোল্টেজের কারণে এমন হচ্ছে বলে জানান তারা।

তীব্র এ লোডশেডিংয়ের ফলে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে গ্রাহকদের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করারও হুমকি দিয়েছেন অনেকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঈদের মত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশের সকল শিল্পকারখানা ও অফিস -আদালত বন্ধ থাকা সত্তেও পল্লী বিদ্যুৎ সেবার মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যেখানে আনন্দ থাকার কথা, সেখানে শুধু গরম আর অন্ধকার। ঈদের অনন্দ ম্লান ও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ "।

জানা গেছে, কমলনগর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৫৬ হাজারেরও অধিক গ্রাহক রয়েছে। এর জন্য প্রতিদিন গড়ে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। ঈদের ছুটিতে অফিস ও শিল্পকারখানা বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরেও দেখা দিয়েছে অতিরিক্ত লোডশেডিং। 

চাঁদ রাত থেকেই দিনে রাতে ১০-১২ ঘন্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে এই উপজেলায়। ঈদ উপলক্ষে পরিবার-পরিজন  নিয়ে গ্রামে এসেছেন অনেকে। বেড়াতে এসে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।

ঢাকা থেকে ছুটিতে আসা চাকরিজীবী মো: মামুন বলেন, "অতীতের কোন ঈদে এবারের মতো এমন খারাপ পরিস্থিতি হয়নি । শহরের সব কিছু বন্ধ। তাই পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকার কথা"।

করইতলা বাজারের চা দোকানদান শাজাহান বলেন, "দিন ও রাতের বেশীরভাগ সময়ই বিদ্যুত থাকেনা। মাঝে মাঝে অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ আসে"। 

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলনগর উপজেলার জিএম নিতেশ শাহা বলেন, আমাদের লোডশেডিং নাই। লো-ভোল্টেজের কারণে সকল ফিডারে একসাথে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারিনা। তাই বিকল্প হিসেবে এক লাইনের ফিডার বন্ধ করে আরেক লাইন চালু করতে হয়।

এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লক্ষ্মীপুর জেলা ডিজিএম দিলীপ চন্দ্র বর্মন জানান, বিদ্যুৎ এখন যেখান থেকে উৎপাদন হচ্ছে সেখান থেকে এখানকার দুরত্ব হচ্ছে ৭২ কিলোমিটার। এই দুরত্বের কারণেই লো - ভোল্টেজ হচ্ছে। লক্ষ্মীপুরের গ্রিডটি চালু হলে এমন সমস্যা আর থাকবেনা। এই গ্রিডটি দ্রুত চালু হবে বলে তিনি জানান। 

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন