
প্রিন্ট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৫ এএম
ব্রক্ষপুত্র নদের ভাঙ্গনে হারিয়ে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি ও জমি জমা

কাজী খলিলুর রহমান
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম

দুর্গম চর কড়াই বরিশাল ও শাখাহাতি গ্রামে মানুষের নেই কোন ঈদ আনন্দ । ষাট উর্দ্ধো আবদুস সাত্তার ঘর দ্রত সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাড়ির অন্য সদস্যরা জিনিষপত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারপরও কিছু জিনিষ নদীতে ভেসে গেছে রক্ষা করতে পারছি না।
শুধু সে একা নয় শাখাহাতি ও কড়াইবরিশালের চরের মানুষের একই অবস্থা। ব্রক্ষপুত্র নদের তীব্র ভাঙ্গনে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। কাল ঈদ। কোন মানুষের মনে ঈদের আনন্দ নেই। আগামীকাল কি খাবে সেটাও এখনও জানে না। আশে পাশের উচুঁ স্থানে অথবা স্কুল,মাদ্রাসায় আশ্রয় নিচ্ছে।সেখানেই গ্রামের কয়েকশত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
শুক্রবার দিনভর চিলমারী উপজেলার ব্রক্ষপুত্র নদের অববাহিকার শাখাহাতি ও কড়াইবরিশাল দ্বীপচর জনকন্ঠের এই প্রতিবদেক ঘুরে বেড়িয়েছেন। দেখেছেন ব্রক্ষপুত্র নদের তীব্র ভাঙ্গন আর মানুষের আহাজারি কান্না। দুটি চরে গত ১৫ দিনে কয়েকশত বিঘা জমি,স্কুল মাদ্রাসা,কমিউনিটি ক্লিনিক,শতশত ঘরবাড়ি,সাবমেরিন কেবলের বিদ্যুতের খুটি নদী ভাঙ্গনের কারণে বিলীন হয়ে গেছে।
চরম কষ্টে পড়েছে দুই চর গ্রামের দুইশতাধিক মানুষ। তাদের কোন ঈদ আনন্দ নেই। মানুষের অর্র্বননীয় কষ্ট। শাখাহাতি ও কড়াইবরিশাল গ্রামের আবদুল হক ,সাহেরা খাতুন ,মোজাম্মেল হক,আশরাফুল ইসলাম,লিটন মিয়া,আবদুস সামাদ,মিনারা বেগম জানান আমাদের গ্রামে কোন ঈদ আনন্দ নেই। কেউ কোরবানী দিবে না। নদীর ভাঙ্গনে সবাই নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি তাদের খাবারের কোন টাকা নেই।
ধার দেনা করে চলছে সবাই। আমাদের দুই গ্রামে ঈদের কোন আনন্দ নেই। চিলমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্র্মকর্তা ৫০ জন গ্রামবাসীকে বৃহষ্পতিবার বিকেলে একটি প্যাকেজ ঈদ উপহার দিয়েছেন। তার মধ্যে চাল,ডাল,তেল,লবন, মরিচ,হলুদ,চিনি ছিল।
চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান ব্রক্ষপুত্র নদের চর কড়াই বরিশাল ও শাখাহাতি গ্রামের মানুষের মাঝে কোন ঈদ আনন্দ নেই। ভাঙ্গনের কারণে তারা ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক জানান ঐ দুটি চরে ব্রক্ষপুত্র নদের ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গন কবলিত মানুষের জন্য ৫০টি প্যাকেট দেয়া হয়েছে । প্রয়োজনে আরও দেয়া হবে।