
প্রিন্ট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনসিপির সদ্য ঘোষিত কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:০০ পিএম

জাতীয় নাগরিক পার্টিতে আওয়ামী লীগ পন্থীদের অন্তভুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে আওয়ামী লীগ পন্থীদের অন্তভুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে উপজেলা ছাত্রদল ও বিএনপি অঙ্গ সংগঠন।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় উপজেলা চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমরা ২০২৪ সালের কোনো আন্দোলনে এদের কাউকে দেখিনি। রাজপথে গুলির মধ্যে আমরা যখন বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছি, তখন তারা কোথায় ছিল? আন্দোলনের ধারে-কাছেও না থাকা এই সুবিধাবাদীদের হঠাৎ করে নেতৃত্বে বসানো মানে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। এরা ‘রাজনৈতিক দালাল’, ‘ক্ষমতার ভিখারি’। আমরা এই প্রহসনের কমিটি মেনে নেব না।”
বক্তারা সরাসরি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যাদের রাজপথের লড়াইয়ে ইতিহাস নেই, তাদের নেতৃত্ব দেওয়াটা আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। যদি অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল না করা হয়, তাহলে বাঞ্ছারামপুর ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠন রাজপথ দখলে নেবে। প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে — যার পরিণতি ভয়াবহ হবে। আমরা কাউকে ছাড় দেব না।”
বক্তারা আরও বলেন, “যারা আওয়ামী লীগে সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে এখন এনসিপির ছায়ায় আবার রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করছে, তাদের স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছি — বাঞ্ছারামপুরের মাটি বিএনপি-ছাত্রদলের ঘাঁটি। এখানে আওয়ামী মুখোশধারীদের কোনো ঠাঁই হবে না।”
বক্তারা জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যদি ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ঘরে বসে সুবিধা নেওয়া লোকদের দিয়ে কমিটি দেন, তাহলে এই দল জনগণের আস্থা হারাবে। আমরা দেশপ্রেমিক তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে সেই বিশ্বাসভঙ্গ হতে দেব না।”
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন এনসিপির পক্ষ থেকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ২১ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়, যার প্রধান সমন্বয়কারী করা হয় মোহাম্মদ মাইনউদ্দিনকে। তবে ছাত্রদলের অভিযোগ, এই কমিটিতে আন্দোলন-অভিজ্ঞ, ত্যাগী বা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো মুখ নেই। বরং তাতে স্থান পেয়েছে সুবিধাবাদী, রাজনৈতিক হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিরা।