
প্রিন্ট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৭ এএম
৪০ মামলার আসামি জামিনে বের হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ২

কাজী খলিলুর রহমান
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম

ছবি: যুগের চিন্তা
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়ার ৩ ঘন্টার মধ্যেই ৪০টি মামলার আসামি নগরীর সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন টমছমব্রিজ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে একটি বিদেশী পিস্তল-গুলি ও দুই সহযোগী রাকিবুল হাসান রিয়াদ, সোহাগ মোল্লাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
নাম তার খায়রুল হাসান, পিতা খোকন মিয়া, গ্রাম শ্রীভল্লবপুর, ২২ নং ওয়ার্ড সদর দক্ষিণ মডেল থানা কুমিল্লার এই সন্ত্রাসী একটি নয় দুটি নয় ৪০টি মামলার আসামি। আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন মঙ্গলবার।
গ্রেফতারের সময় পুলিশকে ওই অস্ত্র দিয়ে গুলি করতে উদ্ধত হন খায়রুল হাসান। ভাগ্যক্রমে পিস্তল থেকে গুলি বের না হওয়ায় বেঁচে যান নগরীর ইপিজেড ফাঁড়ির এসআই খাজু মিয়াসহ এক কনস্টেবল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় পুলিশ ওই ৩ সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হন।
বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার এভাবেই বর্ণনা করেন জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হাসান, ডিআইও-১ মামুনুর রশিদ, ডিবির ওসি মো. আবদুল্লাহ, সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষ্যে নগরীতে ও সড়ক-মহাসড়কে জনগণের জানমাল ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশর বিশেষ টহল জোরদার করা হয়। এরই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার বিকালে নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় যানবাহন তল্লাশীকালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে যাত্রীবেশী সশস্ত্র সন্ত্রাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার চেষ্টা চালায়। এসময় ইপিজেড ফাঁড়ির এসআই খাজু মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ ওই সিএনজিতে থাকা ৫ সন্ত্রাসীর মধ্যে অস্ত্রসহ খায়রুল হাসান (৩০) ও তার দুই সহযোগী সন্ত্রাসীকে আটক করে এবং ২ সন্ত্রাসী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত অপর দুই সন্ত্রাসী হচ্ছে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানাধীন জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বহুরুপা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল হাসান রিয়াদ (২৮) ও চাঁদপুর জেলার মতলব থানার নয়াকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে সোহাগ মোল্লা (৩৫)।
পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, জেলখানা ও জেলখানার বাইরে তাদের শক্তিশালী গ্যাং রয়েছে। খায়রুল হাসান জেলখানায় থেকেই ডাকাতির পরিকল্পনা করে। এদের মধ্যে রিয়াদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৬টি ও সোহাগ মোল্লার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে।
এসব মামলার মধ্যে উল্লেখিত ৩ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, ছিনতাইসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বুধবার অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতির ধারায় আরও দুইটি মামলা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় রুজু করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।