
প্রিন্ট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪২ এএম
জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় খাল-নালায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে : চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১১:০২ পিএম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্ত রাখতে হলে খাল ও নালাগুলোর স্বাভাবিক জলপ্রবাহ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামে টানা বর্ষণের পরও বড় পরিসরে জলাবদ্ধতা দেখা যায়নি, যা একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এই সাফল্যের পেছনে চসিকসহ সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা কাজ করেছে।
সোমবার নগরীর বীর্জাখাল, মিয়াখাঁন নগর, দামপাড়া, ওয়াসা মোড়, জিইসি মোড়, কাপাসগোলা, আগ্রাবাদ, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মেয়র বলেন, “খাল ও নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বর্তমানে আমরা ইক্যুপমেন্ট সংকটে রয়েছি। প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার নালা ও ৫৭টি খাল পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমে ধারাবাহিকতা ও গতি আনতেই হবে।”
তিনি আরও জানান, ভারি বর্ষণের সময় কিছু নিচু এলাকাতে পানি জমলেও দ্রুত নিষ্কাশন ব্যবস্থা সক্রিয় থাকায় তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তিনি বলেন, “স্বয়ংক্রিয় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা চালু করা গেলে ভবিষ্যতে জলাবদ্ধতা সম্পূর্ণরূপে এড়ানো সম্ভব হবে।”
ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় সিটি করপোরেশনের একটি বিশেষ টিম ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। বিশেষ করে বীর্জাখাল পরিষ্কার কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে আবারও শুরু হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, “২০২২ সালে চসিক ৩৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছিল, যার আওতায় ৫৭টি খাল ও ১,৬০০ কিলোমিটার নালা পরিষ্কারে প্রয়োজনীয় যানবাহন ও ইক্যুপমেন্ট কেনার পরিকল্পনা ছিল। তবে প্রশাসনিক জটিলতায় প্রকল্পটির অগ্রগতি ধীর ছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি।”
মেয়রের মতে, জলাবদ্ধতার মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নগরীর কিছু জায়গার স্বাভাবিকের চেয়ে নিচু অবস্থান এবং অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। তাই এসব স্থায়ী সমস্যা চিহ্নিত করে টেকসই সমাধানই নগরের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।