
প্রিন্ট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৯ এএম
হাতিয়ায় চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে ২০ হাজার পরিবার ঝুঁকিতে

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ০৩:১৮ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর হাতিয়ায় অস্বাভাবিক জোয়ারে চরঈশ্বর ইউনিয়নের চার কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধের বড় একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধের বড় একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ২০ হাজার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই বেড়িবাঁধ তালুকদার গ্রাম, বাদশা মিয়া হাজি গ্রাম, ৭ নম্বর গ্রাম ও হামিদুল্লাহ গ্রামকে জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করে আসছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতার জোয়ার ও ঝোড়ো হাওয়ায় বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ ভেঙে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল বলেন, বাঁধের বিভিন্ন অংশে যেভাবে ভেঙেছে, স্বাভাবিক জোয়ারেই পুরো বাঁধটি ধসে পড়তে পারে। সামনে বর্ষা, তখন সাগর আরও উত্তাল হবে, জোয়ারের উচ্চতাও অনেক বাড়বে। দ্রুত মেরামত না হলে পুরো ইউনিয়নই সাগরে বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
চরঈশ্বরের আরেক বাসিন্দা ফিরোজা বেগম বলেন, জোয়ারে আমার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এখন দেখার কেউ নেই। কীভাবে আবার ঘর তুলব জানি না।
আবুল কালাম নামে একজন জানান, বাঁধের কিছু জায়গায় এক ফুটেরও কম অংশ অবশিষ্ট আছে। দ্রুত মেরামত না হলে পুরো এলাকা জোয়ারে তলিয়ে যাবে।
স্থানীয়রা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বর্ষাকাল ঘনিয়ে আসছে। এখনই জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের উদ্যোগ না নিলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, জোয়ারে চরঈশ্বর, নলচিরা ও সুখচর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীতীরবর্তী বাঁধগুলো পানির চাপে ধসে গিয়ে অনেকাংশে চিকন হয়ে পড়েছে। নিঝুমদ্বীপসহ যেসব পরিবার বাঁধের বাইরে বসবাস করছে, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মেরামত ও ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।