
প্রিন্ট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:০২ এএম
বগুড়ায় ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩ পুলিশ ও ১ আনসার সদস্য, কারাগারে প্রেরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বগুড়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে তিন পুলিশ সদস্য ও এক আনসার সদস্যকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৮৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে আদালতের নির্দেশে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—বগুড়া পুলিশ লাইনের নায়েক আব্দুল আলীম (৩৩), জয়পুরহাট ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন (৩৭), রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের সদস্য আব্দুল ওয়াহাব (৪০) এবং শফিপুর আনসার একাডেমির আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান (৪২)।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাতমাথা এলাকায় একাত্তর আবাসিক হোটেলের সামনে তিনজনকে ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে অবস্থান করতে দেখে ডিবি সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। পালানোর চেষ্টা করলেও দ্রুত তাঁদের আটক করা হয়।
আটক আনসার সদস্য আবু সুফিয়ানের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ৭০০টি ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ইয়াবাগুলো তিনি কনস্টেবল সাখাওয়াত ও আব্দুল ওয়াহাবের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন এবং বিকাশের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতেন। সাখাওয়াতের বিকাশ নম্বর ঘেঁটে ২৭ হাজার টাকার লেনদেনের তথ্যও মেলে।
এরপর জানা যায়, নায়েক আব্দুল আলীম ওই দিন কিছুক্ষণ আগেই তাঁদের কাছ থেকে ১৫০টি ইয়াবা কিনেছেন। তাঁকে নবাববাড়ি সড়কে পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে আটক করা হলে তাঁর কাছ থেকেও ১৫০টি ইয়াবা উদ্ধার হয়।
সন্ধ্যায় প্রথম দফায় আলীমকে পুলিশ লাইনের হেফাজতে দেওয়া হলেও পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাটিডালি এলাকায় আবারও তাঁকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ডিবির এসআই আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
জেলা পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, চারজনই পূর্বপরিচিত এবং অতীতে ঢাকায় একসঙ্গে দায়িত্ব পালনকালে মাদক ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি তাঁদের চার জেলার বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হলেও যোগাযোগ অব্যাহত ছিল।
তিনি আরও বলেন, “এটা তাঁদের ব্যক্তিগত অপরাধ। পুলিশ বাহিনী এমন কাজে সম্পৃক্ত কাউকে রক্ষা করবে না। তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”