
প্রিন্ট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১১:১৭ এএম

ছবি : সংগৃহীত
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশাল নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ৯টা থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন বিভাগ) শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা।
তিনি জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে বর্ষা মৌসুমে পানিপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের ৯টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বরিশালের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত ৮টার রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগীতে ৭ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানে সুরমা-মেঘনা ১৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনে ১২ সেন্টিমিটার, বরগুনার সদর উপজেলায় ১১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটায় ২৫ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদী ৭ সেন্টিমিটার এবং পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পায়রা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার এবং বরগুনার আমতলীতে বলেশ্বর/পায়রা নদী ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে এখন পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকাও জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত হয়েছে। সকাল থেকেই টানা বৃষ্টিতে শহরের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।