
প্রিন্ট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০২:০১ এএম
মাতারবাড়ি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নকে আরো গতিশীল করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
উপকূলীয় অঞ্চলকে দেশের শীর্ষস্থানীয় উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে পরিণত করতে মাতারবাড়ী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নকে আরো গতিশীল করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (MIDI) এর অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, মাতারবাড়ীকে দেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর, পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ কেন্দ্র এবং জ্বালানি উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও নৌপরিবহন সচিবদের দ্রুততর যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ এবং সমুদ্রগামী কন্টেইনার জাহাজ পরিচালনার জন্য আধুনিক টার্মিনাল নির্মাণের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে জানানো হয়, জাপান মহেশখালী-মাতারবাড়ী অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে, সৌদি আরবের পেট্রোকেমিক্যাল জায়ান্ট আরামকো, আবুধাবি পোর্টস, জাপানি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেরা এবং মালয়েশিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি পেট্রোনাসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে।
প্রফেসর ইউনূস জানান, আসন্ন জাপান সফরে MIDI অঞ্চলের উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হবে। তিনি ৩০ মে টোকিওতে আয়োজিত ৩০তম নিক্কেই ফিউচার অব এশিয়া সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন, যার লক্ষ্য হবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর জন্য তহবিল নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সম্প্রতি মাতারবাড়িতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য জাপানের পেন্টা-ওশান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও TOA কর্পোরেশনের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) সহযোগিতায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, সড়ক পরিবহন, নৌপরিবহন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। MIDI-সেলের মহাপরিচালক সারওয়ার আলম চলমান প্রকল্পগুলোর পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন।
প্রকল্পের মাধ্যমে মাতারবাড়ীকে একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক করিডোরে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে।