
প্রিন্ট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:২০ এএম
যশোরে কৃষক দল সভাপতিকে নৃশংসভাবে হত্যা, তিনজন পুলিশ হেফাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম

অভয়নগর উপজেলা কৃষক দল সভাপতিকে নৃশংসভাবে হত্যা
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি এসএম তরিকুল ইসলাম (৫০) হত্যার ঘটনায় তিন যুবককে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি শুক্রবার বিকেলে নিশ্চিত করেছেন অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলীম।
বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হলেও তদন্তের স্বার্থে পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
নিহত তরিকুল ইসলাম ছিলেন ধোপাদি গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত ইব্রাহিম সরদারের পুত্র।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাড়ির পাশ থেকে তরিকুল ইসলামের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে নওয়াপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, একটি মৎস্য ঘেরের ইজারা নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই উত্তেজিত জনতা আশপাশের প্রায় ১৫টি বাড়িঘর ও দোকানে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।
নিহতের বড় ভাই এসএম রফিকুজ্জামান টুলু, যিনি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নওয়াপাড়া শিল্পাঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক, অভিযোগ করে বলেন, "তরিকুলকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাকে মাথায় গুলি করে, কুপিয়ে একটি হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়। শেষে ইট দিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে।"
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছয়জন অস্ত্রধারী পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে নির্মম ও ভয়াবহভাবে হত্যা করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার না করা হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলিম জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে তিন যুবককে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে বর্তমানে তাদের নাম ও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।