
প্রিন্ট: ১৫ জুন ২০২৫, ০৩:২৫ এএম
নারায়ণগঞ্জে ভেজাল লুব্রিকেন্টের দুই কারখানায় বিএসটিআইয়ের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১০:৩০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অনুমোদনহীনভাবে নিম্নমানের ও পোড়া উপাদান ব্যবহার করে লুব্রিকেন্ট তৈরির অভিযোগে দুটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। বুধবার (২১ মে) দিনব্যাপী পরিচালিত এই অভিযানে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অন্যটিকে সিলগালা করা হয়।
বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন্নেসা খানমের নেতৃত্বে উপজেলার বানীয়াদি ও ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অংশ নেয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল দুই কারখানায় দেশের ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে অনুমোদনহীন ভেজাল মবিল উৎপাদনের প্রমাণ পায়।
বানীয়াদি এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ঢাকা লুব লিমিটেড-এ অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই লাইসেন্স ছাড়াই ইঞ্জিন অয়েল বিক্রির দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে, ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় মেসার্স অ্যারাবিয়ান মেশিন ওয়েল লিমিটেড নামের আরেকটি কারখানায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল মবিল উৎপাদনের প্রমাণ মেলায় সেটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
বিএসটিআই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের ‘লুব্রিকেন্ট অয়েল রি-রিফাইনিং প্ল্যান্ট স্থাপন নীতিমালা-২০১৯’ লঙ্ঘন করে দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়া কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের নেই কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র, অগ্নি নিরাপত্তা সনদ বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন। শুধু ট্রেড লাইসেন্সের ভিত্তিতে ভেজাল মবিল তৈরি করে তা বাজারজাত করে আসছিল।
ভেজাল তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, “পুরাতন টায়ার, পোড়া মবিল, প্লাস্টিকের দানা, কেরোসিন ও বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে হিট প্রসেসের মাধ্যমে এরা ইঞ্জিন অয়েল তৈরি করছে। যা যানবাহনের ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশেরও ভয়াবহ ক্ষতি করছে। এমনকি এ ধরনের মবিল ব্যবহার করলে যেকোনো সময় যানবাহনে বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সারা দেশে নকল ও ভেজাল মবিলের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে, যা রোধে বিএসটিআই নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে।