Logo
Logo
×

সারাদেশ

বগুড়ার শেরপুরে ধান কেটে মজুরি না পেয়ে থানায় পাঁচ শ্রমিক

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১১:৪১ পিএম

বগুড়ার শেরপুরে ধান কেটে মজুরি না পেয়ে থানায় পাঁচ শ্রমিক

ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় দিনভর ধান কাটার পরও নির্ধারিত মজুরি না পেয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন পাঁচ জন দিনমজুর। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে শেরপুর থানায় হাজির হয়ে তাঁরা লিখিত অভিযোগ দেন, যা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

অভিযোগকারী শ্রমিকরা হলেন—কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া গ্রামের আব্দুল হান্নান (মৃত মোজাম্মেল হকের পুত্র), মির্জাপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর নামাপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমান (মৃত মনসুর মন্ডলের পুত্র), আশরাফ আলী (মৃত সাহেব আলী প্রামাণিকের পুত্র), রিপন (মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের পুত্র) এবং হুমায়ুন কবির (আবির হোসেন আকন্দের পুত্র)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে তারা প্রতিদিনের মতো কাস্তে ও বাঁশের তৈরি বাঙ নিয়ে শেরপুর শহরের রণবীবালা ঘাটপাড় শ্রমিক হাটে যান। সেখানে মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (পিতা: রাজেক আলী) তাদেরকে প্রতিজন ৭০০ টাকা মজুরিতে দেড় বিঘা জমির ধান কাটার কাজে নিয়োগ দেন।

দিনভর কাজ করে ধান কেটে তা মালিকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পরও, কুদ্দুস কাজের মান খারাপ বলে অভিযোগ তোলেন। তিনি শ্রমিকদের গালিগালাজ করে মজুরি না দিয়েই তাড়িয়ে দেন।

অভিযোগকারী আব্দুল হান্নান বলেন, “সারাদিন কষ্ট করে কাজ করেও কোনো টাকা না পেয়ে আমরা খুবই বিপাকে পড়ি। নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।”

অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি, ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের অনেকেই ঘটনাটিকে নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “গরিব মানুষের ঘামে ভেজা শ্রমের মূল্য না দেওয়া অমানবিক ও অন্যায়। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অন্যায় করতে না পারে।”

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, “শ্রমিকদের অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন