
প্রিন্ট: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম
বগুড়ায় নকল স্বর্ণের মূর্তি বিক্রির নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩ প্রতারক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ভুয়া সোনার মূর্তি বিক্রির কথা বলে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে যশোরের আসাদুজ্জামান মোল্লা শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—শেরপুর উপজেলার বিশারপুর ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের খোরশেদ আলম ওরফে খুশি (৫৪), আবুল কালাম (৫০) এবং ইদ্রিস আলী (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রমজানের আগে পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী ফুরফুরা দরবার শরীফে এক ওরশে অংশ নিতে গিয়ে খোরশেদের সঙ্গে পরিচয় হয় আসাদুজ্জামানের। পরে তাকে ‘ধর্ম ভাই’ হিসেবে গ্রহণ করেন আসাদুজ্জামান এবং তাদের মধ্যে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ চলতে থাকে।
পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে খোরশেদ জানান, তার এক আত্মীয় পুকুর খননের সময় সোনার একটি প্রাচীন মূর্তি পেয়েছেন, যার ওজন ৫০০ গ্রাম। সেটি মাত্র পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি করা হবে, তবে আগাম দুই লাখ টাকা জমা দিতে হবে।
বিশ্বাস করে আসাদুজ্জামান তার স্ত্রীকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে সগুনা গ্রামে খোরশেদের বাড়িতে গিয়ে সেই তথাকথিত সোনার মূর্তি সংগ্রহ করেন এবং নগদ দুই লাখ টাকা পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে মূর্তিটি যাচাই করতে শেরপুর শহরের এক স্বর্ণালংকারের দোকানে নিয়ে গেলে জানা যায়, সেটি সোনার নয়, বরং পিতলের তৈরি।
প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আসাদুজ্জামান প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা টালবাহানা করতে থাকে। এরপরই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযানে নেমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, “সোনার মতো মূল্যবান জিনিস কেনার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই ও সতর্কতা অবলম্বন না করলে সহজেই প্রতারণার শিকার হওয়া যায়।”