জবি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মানা হোক : চরমোনাই পীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ০১:১৬ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবিতে রাজপথে নেমেছে, যা স্বাভাবিক ও যৌক্তিক। তবে এই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ও দেশবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সদর উপজেলা শাখা আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
চরমোনাই পীর বলেন, “আমাদের উপদেষ্টা মাহফুজ শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তার ওপর যে হঠাৎ ও অনৈতিক হামলা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি বলেন, “সরকারের প্রতি আহ্বান, শিক্ষার্থীদের দাবি যদি ন্যায্য হয়, তাহলে দ্রুত তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিন। আমরা সবাই যেন দেশের কল্যাণে একযোগে কাজ করি।”
রেজাউল করীম আরও বলেন, “আমরা দেশ গড়ার স্বপ্নে রাজপথে নেমেছিলাম, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যদি ফ্যাসিবাদীরা আবার সুযোগ নেয়, তাহলে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। তাই আন্দোলনের মধ্যে যেন কোনো বিশৃঙ্খল শক্তি প্রবেশ না করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কোনো রাজনৈতিক দলের শত্রু নয়—না আওয়ামী লীগের, না বিএনপির, না জাতীয় পার্টির। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে যারা দেশ চালিয়েছে, তারা জনগণকে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ক্ষমতায় থেকে দেশের অর্থ লুটপাট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে, জনগণকে গুম-খুনের আতঙ্কে রেখেছে।”
সরকারের ভারত নীতি নিয়ে তিনি বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারগুলো নিজেদের স্বার্থে ভারতের তোষামোদি করেছে। এমনকি তাদের দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে বলেছে—দিল্লি আছে বলেই তারা টিকে আছে।”
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহা. আব্দুল্লাহ শেখ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম খান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা সেক্রেটারি কারি আবু ইউসুফ, ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল ফরিদপুরী, সাবেক সভাপতি মুফতি শামসুল হুদা, ও জেলা সেক্রেটারি মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।



