Logo
Logo
×

সারাদেশ

মেহেরপুর সীমান্তে সতর্কতা জারি, সন্ধ্যার পর চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

Icon

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম

মেহেরপুর সীমান্তে সতর্কতা জারি, সন্ধ্যার পর চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলায় সীমান্তে চলাচল ও কৃষিকাজে সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। একইভাবে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সীমান্ত এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে চলাচল সীমিত রাখতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ জানিয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জোরদার করা হয়েছে টহলও। ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে মুজিবনগর, গাংনী ও মেহেরপুর সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, কাঁটাতারের বেড়ার পাশেই রয়েছে বহু জমি—যেগুলোর মালিক ভারতীয় নাগরিক হলেও তা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশিরা বর্গা নিয়ে আবাদ করে আসছেন। প্রতি বিঘা জমির জন্য বর্গাদারদের ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়।

এবছরও এসব জমিতে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হয়েছে এবং কয়েকদিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তোলার সময়। তবে পাক-ভারত যুদ্ধের সম্ভাব্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বিএসএফ ওই জমিতে ‘অপ্রয়োজনে চলাচল না করার’ নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করেছে।

সীমান্তবাসীদের মতে, শুধু ইছাখালি সীমান্তেই ভারতীয় কৃষকের প্রায় ৭৫ বিঘা জমি রয়েছে, যেগুলো মূলত গোভিপুরের মানুষ বর্গা নিয়ে চাষ করেন। দেশভাগের সময় এসব জমি ভারতের সীমানাভুক্ত হলেও ব্যবহার হয়ে আসছে বাংলাদেশিদের দ্বারা।

গোভিপুর গ্রামের আসাদুল হক বলেন, “দেশভাগের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হয়েছে। নোম্যান্স ল্যান্ডে উভয় দেশের কৃষকরা কাজ করে থাকেন। তবে বর্তমানে সন্ধ্যার পর চলাচলে সতর্কতা ঘোষণা করা হয়েছে।”

তেতুঁলবাড়িয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব বলেন, “পাক-ভারত যুদ্ধের সরাসরি কোনো প্রভাব এই সীমান্তে নেই। তবে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে উভয় পক্ষই সন্ধ্যার পর চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করেছে।”

৪৭ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার মাহাবুব মুর্শেদ জানান, সীমান্ত এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে সকালের আগ পর্যন্ত চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে। এলাকায় মাইকিংয়ের পাশাপাশি টহল জোরদার করা হয়েছে এবং যৌথ টহলও চলছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন, পাক-ভারত উত্তেজনার সরাসরি কোনো প্রভাব এই সীমান্তে পড়েনি।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন