
প্রিন্ট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৪ এএম
সিলেট সীমান্তে কারফিউ জারি করল ভারত

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১২:১৬ পিএম

ফাইল ছবি
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রাতের বেলায় সাধারণ মানুষের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির প্রশাসন। ৮ মে থেকে কার্যকর হওয়া এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে লোক চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মেঘালয়ের পূর্ব ও পশ্চিম জয়ন্তিয়া হিলস, পূর্ব খাসি হিলস, দক্ষিণ গারো হিলস এবং পশ্চিম গারো হিলস জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোকে ‘নিরাপত্তা সংবেদনশীল’ ঘোষণা করে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ২০০ মিটার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
প্রশাসনের জারি করা নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, এই কারফিউ চলাকালে পাঁচজন বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত, অস্ত্র বা লাঠিসোঁটা বহন, গবাদিপশু ও পণ্য পরিবহন (বিশেষ করে চা পাতা, সুপারি, পানের পাতা ও শুকনা মাছ) এবং সীমান্ত পারাপার বা অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
সীমান্তবর্তী সিলেটের বাসিন্দারা বলছেন, এ ধরনের কড়াকড়ি নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা যেন সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বিঘ্ন না ঘটায়। কানাইঘাট উপজেলার বাসিন্দা তাওহীদুল ইসলাম বলেন, “যারা বৈধভাবে চলাচল করে, তাদের জন্য এটা তেমন সমস্যা না। কিন্তু অবৈধ কাজ যারা করে, তাদের জন্য সমস্যা হবে।”
জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা মো. সাজু হোসেন জানান, “সীমান্তে নিরাপত্তা দরকার। তবে এতে যেন সাধারণ কৃষক বা শ্রমজীবীদের চলাচলে বাধা না পড়ে, সেদিকেও নজর দিতে হবে।”
স্থানীয়দের মতে, গত বৃহস্পতিবার সিলেটের তামাবিল সীমান্তে যৌথ জরিপ কার্যক্রমের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে। স্থানীয় লোকজনের আপত্তিতে জরিপ কার্যক্রম স্থগিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এরপরই ভারতীয় প্রশাসন এই কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানিয়েছেন, “ভারতের এই সিদ্ধান্ত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি না হয় এবং বাংলাদেশি নাগরিকরা নিরাপদে থাকেন, সে জন্য আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় মাইকিং ও সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে।