
প্রিন্ট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
চাঁদপুরে পেঁয়াজ-সবজি-মাছের বাজারে আগুন, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

চাঁদপুর বাজারে স্তরে স্তরে সাজানো নানা ধরনের সবজি।
ঈদের পর থেকে চাঁদপুরে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে পেঁয়াজসহ প্রায় সব ধরনের শাকসবজি ও মাছের দাম। শুধু পেঁয়াজেই কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩০-৩৫ টাকা। অথচ বাজারে সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবুও দাম বাড়ার পেছনে তারা কোনো সঠিক কারণ জানাতে পারেননি।
চাঁদপুর শহরের বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে, যা ২০-২৫ দিন আগেও ছিল ৩০-৩৫ টাকা।
সবজির বাজারেও একই চিত্র। কাকরোল ১১০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, গাজর ৪৫ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, ধনেপাতা ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া রসুন ১২০-১৩০ টাকা, পেঁপে ৮০, করলা ৪০, ঢেড়স ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, লাউ ৫০-৬০ এবং চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শাক-সবজির দাম যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে মাছের দামও। চিংড়ি ১,০০০ টাকা, মাঝারি শিং বা মাগুর ৭৫০-৮০০ টাকা, কাচকি-বইচা মাছ ৫০০ টাকা এবং তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে।
সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ৩,৩০০ টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২,০০০ টাকা কেজি, আর তিনটায় এক কেজি—এমন ইলিশের দাম ১,৩০০-১,৪০০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এখনও বড় মোকামে ইলিশের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। জেলেরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ ধরা পড়ছে কম। সাগরে এখনও নিষেধাজ্ঞা চলমান, ফলে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা থেকে ইলিশ আমদানি হচ্ছে না।
মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি শবেবরাত সরকার বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম নয়। জুন-জুলাই থেকে মৌসুম শুরু হবে, তখন সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় পেঁয়াজ ও রসুন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৮,৮১১ দশমিক ৬ টন, আর রসুন ২,৯৬২ দশমিক ২৫ টন। তবুও বাজারে লাগামছাড়া দামে বিপাকে পড়েছেন জেলার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ।
বাজার মনিটরিংয়ের অভাব এবং সিন্ডিকেট ব্যবসার অভিযোগ উঠলেও এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।