
প্রিন্ট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০১:৪০ পিএম
ইমাম রইস হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ১১:৫৯ পিএম

গাজীপুরে ইসলামী ছাত্রসেনা নেতা ও ইমাম রইস উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং ইসলামী ছাত্রসেনার নেতাকর্মীরা।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা এই কর্মসূচিতে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছোড়ে। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের সঙ্গে হেলমেট পরা কিছু যুবক দেশীয় অস্ত্রসহ বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন এবং পুলিশ ষোলশহর এলাকা থেকে ১০ জনকে আটক করে।
বিক্ষোভ ও হামলার জেরে ইসলামী ছাত্রসেনা মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ঢাকার প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
অবরোধ চলাকালে চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, জিইসি, দুই নম্বর গেট, নতুন ব্রিজ, সল্টগোলা, একে খান মোড় ছাড়াও পটিয়া ও সীতাকুণ্ড এলাকায়ও সড়ক অবরোধ পালন করা হয়।
ইসলামী ছাত্রসেনার দাবি, মুরাদপুরে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা যৌথভাবে হামলা চালায়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. সোলায়মান বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে পুলিশ অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করলেও তা উপেক্ষা করা হয়। বাধ্য হয়ে পুলিশ টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি জানান, এতে সিটিজেন ফোরামের সদস্যরাও সহায়তা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সকাল থেকেই মুরাদপুর মোড়ে শত শত নেতাকর্মী অবস্থান নেন। বেলা ১১টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার রূপ নেয়।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এমএ মতিন বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।”
পরে বিকেলে চট্টগ্রামের মোমিন রোডে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্রসেনার কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সাহেদুল আলম বলেন, “পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির মিলে হামলা চালিয়েছে।”
ইসলামী ফ্রন্টের মিডিয়া সেলের প্রধান অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম বলেন, “মাওলানা রইসের হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করতে নানা কৌশল নেওয়া হচ্ছে। অথচ গ্রেফতার করা হচ্ছে আমাদের মতাদর্শী নেতাকর্মীদের। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সুফিবাদীরা কখনোই সহিংসতায় জড়ায় না।”