
প্রিন্ট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
সরকারিকরণের দাবিতে মাঠে বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০২:০৩ পিএম

সরকারিকরণের দাবিতে মাঠে বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
বগুড়ায় বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজকে সরকারিকরণের দাবিতে টানা ছয়দিন ধরে চলছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শনিবার (৩ মে) শহরের সাতমাথা মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন, লিফলেট বিতরণ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড হাতে অংশগ্রহণকারীরা সরকারিকরণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বক্তৃতা দেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়া, আব্দুল মান্নান, মোশাররফ হোসেন, হাসিব বিন আব্বাস এবং অভিভাবক প্রতিনিধি মিজানুর রহমান। বক্তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তারা বলেন, ২০০৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০০৫ সালে তারেক রহমান এর উদ্বোধন করেন। প্রথমে এটি ‘বগুড়া মডেল স্কুল’ নামে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন হয়ে ‘বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া’ নামে পরিচিতি পায়। ২০০৬ সাল থেকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ১১টি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মধ্যে নয়টি ইতোমধ্যে সরকারিকরণ হলেও বগুড়ার প্রতিষ্ঠানটি বিয়াম ফাউন্ডেশনের অধীনে হস্তান্তর করা হয়েছে, যেখানে ফাউন্ডেশনের কোনো ভূমিকা ছিল না। টিউশন ফি নির্ভর এই প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর আয়ের ২৫ শতাংশ ফাউন্ডেশনকে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া খাতা, ডায়েরি ও অন্যান্য উপকরণ বাবদ ফাউন্ডেশন বছরে প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকা আদায় করছে।
তারা আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৮০ জন শিক্ষক ও কর্মচারী দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে পদোন্নতি, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বক্তারা অবিলম্বে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার থেকে শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেন। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করে। ফলে টানা ছয়দিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হোসনা আফরোজা বলেন, "শিক্ষকেরা শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করছেন। তাদের যৌক্তিক দাবি থাকলে তা স্মারকলিপির মাধ্যমে জানাতে পারতেন। কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জিম্মি করে তারা যে আন্দোলন করছেন, তা চাকরির বিধি বহির্ভূত।"