নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার এলজিইডি সংলগ্ন ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের পাশের রাস্তা দিয়ে দুই বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে  চলাচল করছিল স্থানীয় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। রাস্তাটি মেরামতের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন স্থানীয় সমাজ সচেতন ব্যাক্তিবর্গ। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি সমস্যাটি সমাধানের।

অবশেষে স্থানীয় মুরুব্বিদের পরামর্শে সামাজিক সংগঠন তারুণ্যের প্রতীকের সদস্যগন সারাদেশে মানবিক জেলা প্রশাসক হিসাবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সাথে দেখা করে রাস্তাটি মেরামতে তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন গত সপ্তাহে।

তরুণদের কাছে থেকে শোনামাত্রই জেলা প্রশাসক সরেজমিনে খোজখবর নেয়ার নির্দেশ দেন। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঝুকিপূর্ণ রাস্তাটা দ্রততার সাথে মেরামত নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেয়েই শুরু হয় মেরামতের কাজ।

আজ থেকে সেই রাস্তা দিয়েই নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করছে।

তারুণ্যের প্রতীক সংগঠনের সভাপতি মো: নিয়াজুল আলম পামেল জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,এমন জনবান্ধব জেলা প্রশাসক পেয়ে নারায়ণগঞ্জবাসী সত্যিই গর্বিত।

দুই বছরের সমস্যাটি উনি আমাদের কাছে থেকে জানামাত্রই সমাধানের উদ্যোগ নিলেন। অথচ এই দুর্ভোগ  লাগবের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ এমন কোন যায়গা নেই,আমরা যায়নি। আগে কেউ আমাদের পাত্তাই দেন নাই বিভিন্ন অজুহাতে। 

একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ: রাকিব আহমেদ রাজু বলেন ফতুল্লা থানার এলজিইডি সংলগ্ন ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের পাশের রাস্তাটি প্রায় দুই বছর যাবত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও চলাচলের অনুপযোগী ছিল। খানা খন্দে ভরা,একেবারে ভেঙ্গে তছনছ হয়ে গিয়েছিল রাস্তাটি।

অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন সুগন্ধা মসজিদ,আনন্দনগর আবাসিক এলাকা, বুড়ি দোকান,বৃহত্তর ইসদাইরবাজার ,লালের বাড়ি ,শাহী মসজিদ ,বটতলা ,ইসলামবাগ ,রসুলবাগ ,দক্ষিন সস্তাপুর , টাগারপার, গাবতলী, কোতয়ালের বাগসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে থাকে। এই রাস্তাটি দিয়ে রিকশা, অটো, ট্যাক্সি, মাইক্রো, পিকআপ, ভ্যান গাড়ি এবং  পায়ে হেঁটে চলাচল করেন লক্ষাধিক মানুষ । ঝুকিপূর্ণ রাস্তায় প্রতিদিন চার পাঁচটিও বেশি দুর্ঘটনা  ঘটতো । মোটরসাইকেলসহ অটো রিক্সা উল্টে পড়ে গিয়ে অনেকে মারাত্মক দুর্ঘটনায়  শিকার হতেন। সড়কটির পাশেই ক্যাম্ব্রিয়ান এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীও অভিভাবকরা যাতায়াত করতেন।

তিনি আরো বলেন,জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম স্যারের ব্যাক্তিগত হস্তক্ষেপে আমাদের সবার দুই বছরের দুর্ভোগ এখন লাগব হলো।