
প্রিন্ট: ১৮ জুন ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
জুলাই যোদ্ধাদের সম্মানে আড়াই কোটি টাকার চেক প্রদান নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২১ পিএম

জুলাই যোদ্ধাদের সম্মানে আড়াই কোটি টাকার চেক প্রদান নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির যোদ্ধাদের এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে সঞ্চয়পত্র ও আর্থিক অনুদানের মোট ২ কোটি ৫২ লাখ টাকার চেক প্রদান করলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
এ সময় তিনি আবারও নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতির যাত্রায় তরুণ সমাজ, রাজনৈতিক নেতাদের, গণমাধ্যমকর্মী ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক আবেগময় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালযয়ের পক্ষ থেকে প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক ও সঞ্চয়পত্র বিতরণ করেন সারা দেশে মানবিক জেলা প্রশাসক হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, স্থান রাজনৈতিক নেতারা, আহত জুলাই যোদ্ধা ও তাদের পরিবার, শহিদ পরিবারের সদস্যরা, ছাত্র প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে প্রথমেই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় সেইসব বীর সন্তানদের, যাদের আত্মত্যাগে আজকের এই নতুন বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে তিনজন শহীদ পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন যোদ্ধাকে এককালীন ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।
সভাপতির ভাষণে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর সন্তানরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। তাদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও অদম্য চেতনা আমাদের জাতি পুনর্গঠনের অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, এই যোদ্ধাদের সাহসিকতা দিয়েই গড়ে উঠবে একটি নতুন, উদ্ভাসিত বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতির যাত্রায় আমরা তরুণ সমাজ, রাজনৈতিক নেতারা, গণমাধ্যমকর্মী ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল নারায়ণগঞ্জ।
অনুষ্ঠানটি শুধু অনুদান বিতরণ নয় বরং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানানোর এক অনবদ্য প্রয়াস হয়ে উঠেছিল বলে জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।