
প্রিন্ট: ১৮ জুন ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
বগুড়ায় অটোরিকশাচালক পিয়াল হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর আলী পিয়াল হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক মো. আবু হানিফ এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—বগুড়া সদর উপজেলার ছোট কুমিড়া এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হান্নান এবং একই এলাকার দুলু খানের ছেলে রাশেদ খান। তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নুরুন্নবী মুন্না দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ২০২০ সালের ২১ মার্চ বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মহিদুল ইসলাম খোকার ছেলে আজগর আলী পিয়াল অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। এক সপ্তাহ পর ২৮ মার্চ শহরতলির বড় কুমিড়া হিন্দুপাড়ার কবরস্থানে পচাগলা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পিয়ালের বাবা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে রাশেদ ও হান্নানকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হত্যার কথা স্বীকার করেন।
তিনি আরও জানান, আসামিরা অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে পিয়ালকে ২১ মার্চ রাতে বড় কুমিড়ার বিএড কলেজের পেছনে একটি বাঁশবাগানে নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা 'লোপেন্ট' নামের একটি মাদক সেবন করেন। একপর্যায়ে ইট দিয়ে পিয়ালের মাথায় আঘাত করে তাঁকে হত্যা করেন। পরে লাশ পাশের একটি পাকা কবরের ভেতরে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। ওই রাতেই রিকশাটি বিক্রির উদ্দেশ্যে ঘোড়াঘাটে নিয়ে গিয়ে নুরুন্নবী মুন্নার কাছে রেখে আসেন।
পুলিশ পিয়ালের মোবাইল ফোন ও রিকশা উদ্ধার করে। পরে স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মুন্নাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, “দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আদালত সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।”