কক্সবাজারে শিশু সুরক্ষা জোরদারে সিসিপিপির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

কক্সবাজার শিশু সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম (সিসিপিপি) তাদের সাধারণ সভায় দেশের শিশুদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি নতুন করে প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সভায় সরকারি বিভাগ, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় এনজিও, এবং শিশু সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, যিনি বলেন, "শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা কোনো একক সংস্থার পক্ষে সম্ভব নয়; এটি একটি সম্মিলিত প্রয়াসের ফল হওয়া উচিত। কক্সবাজারে একটি কার্যকর ও টেকসই শিশু সুরক্ষা কাঠামো গড়ে তুলতে সরকার সক্রিয়ভাবে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে।"

তিনি আরও বলেন, একটি কার্যকর ড্যাশবোর্ড নির্মাণ এখন সময়ের দাবি, যা সিসিপিপির মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

সভায় বিগত বছরের সাফল্য, অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর আলোচনার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়। আলোচিত মূল বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল—

• সিসিপিপি ড্যাশবোর্ড চালুর মাধ্যমে তথ্যভিত্তিক সমন্বয়,
• শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ,
• দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন সংযুক্তকরণ,
•  এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিশুবান্ধব কার্যক্রমের বিস্তৃতি।

সিসিপিপি ওয়ার্কিং টিমের টিম লিড হাসান মাসুদ বলেন, “আমাদের প্রকৃত শক্তি হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে একই উদ্দেশ্যে একত্রে কাজ করানোর সক্ষমতা। কক্সবাজারের প্রতিটি শিশুর নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে আমরা একযোগে কাজ করছি এবং আশা করছি নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও এই প্ল্যাটফর্ম দৃশ্যমান অবদান রাখবে।”

সভাটি শেষ হয় ভবিষ্যতে আরও সুসংগঠিত ও একতাবদ্ধভাবে কাজ করার নতুন অঙ্গীকারের মাধ্যমে।

জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের দিকনির্দেশনা এবং সেভ দ্য চিলড্রেন-এর উদ্যোগে গঠিত সিসিপিপি মূলত শিশু সুরক্ষা সেবাসমূহের সমন্বয়, বিদ্যমান ঘাটতি চিহ্নিতকরণ এবং অংশীজনদের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই প্ল্যাটফর্মের ওয়ার্কিং টিমে রয়েছে জাতিসংঘ সংস্থা, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় এনজিও এবং স্থানীয় সংগঠন, যারা সম্মিলিতভাবে শিশুদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশে গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করছে এবং কক্সবাজারে ২০১২ সাল থেকে মানবিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।