
প্রিন্ট: ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৫০ এএম
ব্যাঙ সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরিতে তীরের র্যালি ও আলোচনা সভা

বগুড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

ছবি : ব্যাঙ সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরিতে তীরের র্যালি ও আলোচনা সভা
ব্যাঙ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার সকালে শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর)’ এ কর্মসূচি আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ব্যাঙ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু পরিবেশ দূষণ, আবাসস্থল ধ্বংস, অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার ও খাদ্য হিসেবে অতিরিক্ত সংগ্রহের কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যাঙের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে। আইইউসিএন-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৪৯টি ব্যাঙ প্রজাতির মধ্যে ১০টি বর্তমানে সংকটাপন্ন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শওকত আলম মীর, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল ওয়াহেদ সরকার, এবং তীরের উপদেষ্টা ও সদস্যরা। বক্তারা বলেন, পরিবেশের পরিবর্তন ব্যাঙ দ্রুত অনুভব করে সংকেত প্রদান করে। কিছু ব্যাঙের শরীর থেকে প্রাপ্ত রাসায়নিক উপাদান মানবদেহের জটিল রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হতে পারে। ব্যাঙের অস্তিত্ব রক্ষা না হলে পরিবেশের ভারসাম্য ও মানুষের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।
তীরের সভাপতি হোসেন রহমান জানান, ব্যাঙ তার দেহের তুলনায় দ্বিগুণ খাবার খায়, যার বেশিরভাগই ক্ষতিকর পোকামাকড়। একটি ব্যাঙ জীবদ্দশায় প্রায় ৪ লাখ টাকার ফসল রক্ষা করতে সহায়তা করে। শহরাঞ্চলে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধেও ব্যাঙ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও তীরের উপদেষ্টা এসএম ইকবাল বলেন, দেশে বর্তমানে ব্যাঙের ৬১টি প্রজাতি শনাক্ত হলেও প্রকৃত সংখ্যা শতাধিক হতে পারে। গত ১২ বছরে ২৪টি নতুন ব্যাঙ প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যার ৯টি বিশ্বের জন্য সম্পূর্ণ নতুন। অনুষ্ঠানে বক্তারা ব্যাঙ সংরক্ষণে আরও উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।