
প্রিন্ট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
‘কক্সবাজারের ১২ হাজার একর বনভূমি ফেরত পাচ্ছে বন বিভাগ’

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৬ পিএম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, কক্সবাজারে বিভিন্ন সংস্থার জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি ফেরত নিচ্ছে বন বিভাগ। পাশাপাশি সি-বিচ, নদী ও বনভূমি দখল-দূষণমুক্ত করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কক্সবাজার পৌরসভার ময়লার ভাগাড় ও বাকখালী নদীর তীর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সরকারি-বেসরকারি কোনো স্থাপনা বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে কক্সবাজারের সি-বিচ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিতে পরিণত হবে—এটা কখনও হতে দেওয়া হবে না। আইন ভাঙলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিজওয়ানা হাসান জানান, ইতোমধ্যে কক্সবাজারের ৭০০ একর বনভূমি উদ্ধার হয়েছে। একজন ব্যক্তি ১৫০ একর বনভূমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করছিলেন, সেটি বন্ধ করা হয়েছে। ফুটবল একাডেমির জন্য বরাদ্দ পাওয়া ২০ একর জমিও ফেরত আনা হচ্ছে। সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার অধীনে থাকা জমি বন বিভাগের আওতায় ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম এবং কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।