
প্রিন্ট: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
বিশ্ব অটিজম দিবসে ব্যাতিক্রমী আয়োজন করে প্রশংসায় ভাসছে মানবিক ডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম

ছবি : বিশ্ব অটিজম দিবসে মানবিক ডিসির মানবিক আয়োজন
১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক ব্যতিক্রমী ও মানবিক আয়োজন করায় নেটজেনদের প্রশংসায় ভাসছে সারাদেশে মানবিক ডিসি হিসাবে পরিচিত পাওয়া মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
তিলোত্তমা দাস নামের একজন নারী জেলা প্রশাসকের এমন আয়োজনের প্রশংসা করে লিখেছেন," সুন্দর ও প্রস্ফুটিত উদ্যোগ নেয়ার জন্য স্যারকে শ্রদ্ধার সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"
মিশুক দেওয়ান নামের একজন নারায়ণগঞ্জবাসী লিখেছে,"মহৎ কাজ। স্যারের জন্য শুভ কামনা রইল।আল্লাহ তায়ালা স্যার নেক হায়াত দান করুন।"
নেপাল চন্দ্র ধর নামে আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামকে এমন মানবিক আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
মুহুয়া মুজতবা নামে একজন নারীও জেলা প্রশাসককে শুভকামনা জানিয়েছেন অটিস্টিকদের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগের।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে ছিল র্যালি, হুইল চেয়ার বিতরণ এবং আলোচনা সভা।
সকালে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার নেতৃত্বে শুরু হয় একটি বর্ণাঢ্য র্যালি। এতে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, বিভিন্ন এনজিও, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অটিজম পরিবারসহ শতাধিক মানুষ।
পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে ১০ জন অটিজম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে উপস্থিত হয়ে ৬৬ বছর বয়সী শারিরীক প্রতিবন্ধী ইসমাইল হোসেন আবেগভরে বলেন, “জেলা প্রশাসক শুধু প্রশাসনিক ব্যক্তি নন, তিনি এক মানবিক হৃদয়ের মানুষ।”
আর ৪৮ বছর বয়সী আরেকজন শারিরীক প্রতিবন্ধী
মো. শাহজাহান বলেন, “এই হুইল চেয়ার আমার চলার পথে নতুন দিগন্ত খুলে দিল।”
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা আমাদের বোঝা নয়। তাদের মাঝে লুকিয়ে থাকতে পারে অসাধারণ প্রতিভা। আমাদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো ও বিকাশে সহায়তা করা।”
পরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, “অটিজম সম্পর্কে সমাজে আরও সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ ছাড়া উন্নত সমাজ সম্ভব নয়।”
অংশগ্রহণকারীদের মতে,নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল সহানুভূতি, মানবতা ও অন্তর্ভুক্তির জীবন্ত দৃষ্টান্ত।
এধরনের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং অটিজম বিষয়ে সচেতনতা আরও জোরদার হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।