
প্রিন্ট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
রাজবাড়ীতে শেখ হাসিনাসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম

ফাইল ছবি
রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল গণি শেখ (৪৫) গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ওই ঘটনার প্রায় দুই মাস পর, গত ২৭ সেপ্টেম্বর তার বাবা মো. আব্দুল মজিদ শেখ ঢাকার গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রীসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩৫০ থেকে ৪০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর গত ৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর মহাখালী থেকে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন রাজবাড়ী সদর আমলি আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯ জুলাই সকাল ১১টার দিকে গুলশান থানার শাহজাদপুর এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় মো. আব্দুল গণি শেখ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পথচারীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে।
এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান জানান, মামলা র্যাব তদন্ত করছে। রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন জানান, কাজী কেরামত আলীকে এই মামলাসহ আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজবাড়ীতেও হামলার ঘটনা ঘটে, যার প্রেক্ষিতে স্থানীয় থানায় পৃথক মামলা দায়ের হয়। আন্দোলন চলাকালে একাধিক ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে।