ওসির চেষ্টায় বাকপ্রতিবন্ধী চাঁদনিকে ফেরত পেলো পরিবার
সাব্বির হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হলো চাঁদনিকে। ছবি : যুগের চিন্তা
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলমের চেষ্টায় অবশেষে হারিয়ে যাওয়া বাকপ্রতিবন্ধী চাঁদনিকে ফেরত পেয়েছে তার পরিবার।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ইটনা থানায় বাক প্রতিবন্ধী চাঁদনীর বাবা মো. জসিম মিয়া এবং মা মোছা. বেগম আক্তার এর হাতে তুলে দেওয়া হয় বাকপ্রতিবন্ধী চাঁদনিকে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদনী একা একা হেঁটে ইটনা থেকে মিঠামইন থানায় গিয়ে ওসির রুমে ঢুকে। তখন ওসি শফিউল আলম তার নাম, ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দিতে পারেনি চাঁদনী। পরে দেখা যায় সে বাক প্রতিবন্ধী। তখন চাঁদনীকে মহিলা পুলিশের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে খাওয়া-দাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করেন ওসি শফিউল আলম।
মেয়েটির ছবি বিভিন্ন থানা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। তারপরও যখন কোনোভাবে চাঁদনীর পরিবারের সন্ধান মেলেনি তখন ওসি বাজিতপুর উপজেলা থেকে বাকপ্রতিবন্ধীদের কথা বুঝতে পারেন এমন দুইজন লোক এনে তাদের চাঁদনীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
চাঁদনীর হাতের ইশারা ইঙ্গিতে বুঝা যায়, চাঁদনির বাড়ি ইটনার দিকে তারপর চাঁদনীকে নিয়ে ওসি শফিউল আলম ইটনার পথে রওনা হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে চাঁদনীর বাড়ি ইটনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের এরশাদ নগরে জানা যায়। তখন চাঁদনীর পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করেন মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম এবং ইটনা থানার ওসি মো. জাফর ইকবাল।
বাকপ্রতিবন্ধী চাঁদনীর বাবা মো. জসিম উদ্দিন জানান, বাড়ি থেকে অভিমান করে লুকিয়ে চলে গিয়েছিল আমার মেয়ে। আমরা তাকে আমাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি তার কোনো খোঁজ খবর পায়নি। আমার তিনজন মেয়ের মধ্যে দুইজনেই বাক প্রতিবন্ধী।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম জানান, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া মেয়েটাকে তার পরিবারের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছি। মেয়েটা আমার রুমে যাওয়ার পর যখন দেখলাম বাকপ্রতিবন্ধী তখন খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। বাজিতপুর থেকে বাকপ্রতিবন্ধীদের কথা বুঝতে পারে এমন দুইজন লোক এনে তারপর খোঁজখবর নিয়ে পরিবারের সন্ধান পেয়ে তাদের হাতে তুলে দিয়েছি।



