
প্রিন্ট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
পদ্মার বুকে ডুবোচরে নৌযান চলাচলে ভোগান্তি, জরুরি ড্রেজিংয়ের দাবি স্থানীয়দের

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীর অংশে পানি কমে গিয়ে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর ও চর। কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন থেকে ধূলশুরা ইউনিয়ন পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীর মাঝ বরাবর বড় আকারের চর জেগে ওঠায় ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল।
স্থানীয়দের মতে, প্রায় ৫০ বছর আগে পদ্মা নদী ভাঙনের কারণে হরিরামপুর উপজেলা দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়ে। বর্তমানে আজিমনগর, সুতালড়ী ও লেছড়াগঞ্জ—এই তিন ইউনিয়নে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নদীর ওপারে দুর্গম চরাঞ্চলে বাস করে। উপজেলা সদর থেকে চরাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ইঞ্জিনচালিত ট্রলার।
প্রতিদিন বাহাদুরপুর, আন্ধারমানিক ও ধুলশুড়া খেয়াঘাট থেকে চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০টি ট্রলারে শতশত মানুষ যাতায়াত করে। তবে শীত মৌসুম এলেই নদীর নাব্য সংকট তীব্র হয়। চর জেগে ওঠায় কার্গো জাহাজ, বাল্কহেডসহ নৌযান চলাচলেও সমস্যা দেখা দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নওজেশ মোল্লা জানান, নৌযানগুলোকে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যেতে হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি অসুস্থ রোগীরা বেশি বিপাকে পড়েন।
ট্রলারচালক হাশেম বলেন, প্রতি বছর আমাদের এই খেয়াঘাট এলাকায় ডুবোচর জেগে ওঠে। ট্রলার চালাতে সমস্যা হয়, জ্বালানির খরচও বেড়ে যায়। কিন্তু ইজারার টাকা ঠিকই দিতে হয়। নদীর মাঝ দিয়ে খনন জরুরি।
আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন চৌধুরী বিপ্লব বলেন, ডুবোচর উঠায় নদী পাড়ি দিতে সময় ও ঝুঁকি দুই-ই বেড়েছে। ড্রেজিং ছাড়া নৌপথ সচল রাখা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান খান জানান, পদ্মা নদীর তলদেশে পলি জমার কারণে ডুবোচর সৃষ্টি হচ্ছে, এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ও ভাঙন বেড়েছে। ইতোমধ্যে জরিপ কাজ চলছে, প্রকল্প নেওয়ার উদ্যোগ রয়েছে এবং ড্রেজিংয়ের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।