Logo
Logo
×

সারাদেশ

মাঘের শেষে চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, শীতে কাঁপছে প্রাণীকূল

Icon

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

মাঘের শেষে চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, শীতে কাঁপছে প্রাণীকূল

ছবি : সংগৃহীত

মাঘের শেষ প্রান্তে এসে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে কাঁপছে মানুষ। গত দুই দিনে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের অন্যতম সর্বনিম্ন। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার ছিল ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর তার আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ১৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাত্র একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

হিমেল হাওয়ায় বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ

সকালবেলার তীব্র শীতে কাজে বের হতে হিমশিম খাচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ। হাড়কাঁপানো শীতে গুটিয়ে গেছে প্রকৃতি। 

পল্লী চিকিৎসক মিজানুর রহমান জানান, "মাঘে তেমন শীত ছিল না, কিন্তু গত দুই দিন ধরে ঠান্ডা অনেক বেড়েছে। সকালে বের হতে কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু রোগীরা অপেক্ষায় থাকেন, তাই যেতে হয়।"

কাঠ ব্যবসায়ী জামাত আলী বলেন, "গাছ কেটে স’মিলে নেওয়ার কাজ করতে হয়। কিন্তু সকালে শীত এতটাই বেশি যে কাজ শুরু করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। তবে রোদ উঠলে একটু ভালো লাগে।"

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, "আজ থেকে চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে। আগামী দুই দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে দিনে রোদ থাকলেও রাতের শীত থাকবে তীব্র।"

শীতের এই প্রভাব বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাব এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে অনেকেই শ্বাসকষ্ট ও সর্দি-কাশিতে ভুগছেন।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন